পাপুয়া নিউগিনিকে হারিয়ে সুপার টুয়েলভের পথে স্কটল্যান্ড

বাংলাদেশকে হারিয়ে চমক দেখিয়েছে স্কটল্যান্ড। আত্মবিশ্বাসে ভরপুর সেই দলটি এবার হারালো পাপুয়া নিউগিনিকে। আজ (মঙ্গলবার) নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ১৭ রানের জয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের পথে আরও এগিয়ে গেলো স্কটিশরা। পিএনজি বোলারদের সামনে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬৫ রান তোলে তারা। সেই লক্ষ্যে খেলতে নেমে পিএনজি করতে পারে ১৪৮ রান।

বাংলাদেশের হারানোর পর পিএনজির বিপক্ষে জয়ে দুই ম্যাচে পূর্ণ ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের টেবিলে শীর্ষে বসেছে স্কটল্যান্ড। দ্বিতীয় পর্ব বা সুপার টুয়েলভ এখনও নিশ্চিত হয়নি, তবে আজই হয়ে যেতে পারে। দিনের দ্বিতীয় খেলায় মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ-ওমান। এই ম্যাচে বাংলাদেশ হেরে গেলে পরের পর্বে চলে যাবে স্কটিশরা। অন্যদিকে দ্বিতীয় রাউন্ডের আশা শেষ পিএনজির।

স্কটিশ বোলারদের সামনে শুরুতেই এলোমেলো পিএনজির ব্যাটিং লাইনআপ। ৩৫ রানে হারায় তারা ৫ উইকেট। এরপর ৬৭ রানে ৬ উইকেট কাটা পড়লে হারটা সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। যদিও হার মানেনি তারা। ঘুরে দাঁড়িয়ে লড়াই করেছে। একটা পর্যায়ে বেশ অস্বস্তিতেই ছিল স্কটল্যান্ড। যদিও শেষের হাসিটা তাদেরই।

নরম্যান ভানুয়া ৩৭ বলে ৪৭ রানের ইনিংস খেলে পিএনজির আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। তার বিদায়ের পর চাদ সোপার (১৬) চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন। টপ অর্ডার ব্যর্থ না হলে ম্যাচের গল্পটা অন্যরকমও হতে পারতো পিএনজির।

স্কটল্যান্ডের সবচেয়ে সফল বোলার জশ ডেভি। ৩.৩ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে তার শিকার ৪ উইকেট।

রিচি বেরিংটন ও ম্যাথু ক্রস যেভাবে খেলছিলেন, তাতে একটা পর্যায়ে মনে হচ্ছিল রান ১৮০-১৯০ হয়ে যেতে পারে। কিন্তু পাপুয়া নিউগিনির বোলাররা দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ানোয় স্কটল্যান্ডের ‍সংগ্রহ বাড়েনি। শেষ দুই ওভারে স্কটিশদের নেই ৬ উইকেট, আরও স্পষ্ট করে বললে শেষ ৫ বলে ৪ উইকেট হারায়! ফলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬৫ রান করে স্কটল্যান্ড।

ওমানের আল আমিরাত স্টেডিয়ামে স্কটিশরা শুরুতে বিপদে পড়ে কাইল কোয়েটজার (৬) ও জর্জ মানসি (১৫) দ্রুত ফিরে গেলে। ওই অবস্থা থেকে পথে ফেরান বেরিংটন ও ক্রস। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসের পালে হাওয়া লাগানো স্কটিশ-তরী বড় সংগ্রহের ভিত পায় তাদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে। বেরিংটন বাংলাদেশ ম্যাচে জ্বলে উঠতে না পারলেও পিএনজির বিপক্ষে ঝড় তুলেছিলেন। ৪৯ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় খেলেন ৭০ রানের ইনিংস। আর তিন ‍নম্বরে নামা ক্রস ৩৬ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় করে যান ৪৫ রান।

কিন্তু শেষটায় আবার অন্য ছবি দেখতে হয় তাদের। কালাম ম্যাকলেয়ড ১০ রানে ফেরার পর শুরু আসা-যাওয়ার মিছিল। এই সময়ে শেষ দুই ওভারে ৬ উইকেট হারায় স্কটল্যান্ড। বিশেষ করে, কাবুয়া মোরেয়ার শেষ ওভারে ফিরে যান চার স্কটিশ ব্যাটার। মোরেয়া ২০তম ওভারের দ্বিতীয় বলে তুলে নেন ক্রিস গ্রিভসের (২) উইকেট। পরের বলে হজম করেন ছক্কা। এর পরের তিন বলেই উইকেট!

অবশ্য হ্যাটট্রিক হয়নি। কারণ চতুর্থ বলে মাইকেল লেস্ক (৯) রান আউট হয়ে ফেরেন। পরের দুই বলে জশ ডেভি (০) ও মার্ক ওয়াট (০) মোরেয়ার শিকার হলে ১৬৫ রানে শেষ হয় স্কটল্যান্ডের ইনিংস।

পিএনজির সবচেয়ে সফল বোলার মোরেয়া। শেষ ওভারে চমক দেখানো এই পেসার ৪ ওভারে ৩১ রানে নেন ৪ উইকেট। ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট পেয়েছেন চাদ সোপার।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.