পাপুয়া নিউগিনিকে ১৬৬ রানের টার্গেট দিলো স্কটল্যান্ড

শুরুটা তেমন ভালো ছিল না। ২৬ রানে নেই ২ উইকেট। নবাগত পাপুয়া নিউগিনির বোলাররা বেশ চেপেই ধরেছিলেন স্কটল্যান্ডকে। সেখান থেকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় স্কটিশরা।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপর্বের ম্যাচে ম্যাথিউ ক্রস আর রিচি বেরিংটনের ব্যাটে চড়ে ৯ উইকেটে ১৬৫ রান তুলেছে স্কটল্যান্ড। অর্থাৎ জিততে হলে ১৬৬ করতে হবে পাপুয়া নিউগিনিকে।

আল আমেরাতে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় স্কটল্যান্ড। দুই ওপেনার ১৩ বলে এনে দেন ২২ রান। কাইল কোয়েতজার ছিলেন বাড়তি সতর্ক। কিন্তু স্কটিশ অধিনায়কের সেই সতর্কতায় কাজ হয়নি।

তৃতীয় ওভারে বাঁহাতি পেসার কাবুয়া মোরেয়ার দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হন কোয়েতজার (৬ বলে ৬)। আরেক ওপেনার জর্জ মুনসে তার তুলনায় মারমুখী ছিলেন।

কিন্তু পরের ওভারে তিনিও সাজঘরের পথ ধরেন। চাদ সপারকে তুলে মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ হন মুনসে (১০ বলে ১৫)। ২৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে স্কটিশরা।

সেখান থেকে ম্যাথিউ ক্রস আর রিচি বেরিংটনের দারুণ এক জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় স্কটল্যান্ড। তৃতীয় উইকেটে ৬৫ বলে ৯২ রান যোগ করে দলকে ভালো অবস্থানে পৌঁছে দেন এই যুগল।

দুর্ভাগ্য ক্রসের। হাফসেঞ্চুরির খুব কাছেই ছিলেন। সিমন আতাইকে ভুল শট খেলে বসেন ব্যক্তিগত ৪৫ রানে। ৩৬ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় গড়া তার ইনিংসটি থামে বাউন্ডারি লাইনের ক্যাচে।

তবে ফিফটি তুলে নিতে ভুল করেননি বেরিংটন। ৩৭ বলে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করার পর ১৯তম ওভার পর্যন্ত দলকে টেনে নিয়ে গেছেন তিনি। ৪৮ বলে ৬ চার আর ৩ ছক্কায় ৭০ রান করে সপারের শিকার হন ব্যাটার।

শেষ দুই ওভারে ১৫ রান যোগ করে ৬ উইকেট হারায় স্কটিশরা। নাহলে পুঁজিটা আরও বড় হতে পারতো কোয়েতজারের দলের।

পাপুয়া নিউগিনির বোলারদের মধ্যে কাবুয়া মোরেয়া ৪টি এবং চাদ সপার নেন ৩টি উইকেট।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.