ওমান-পিএনজির কাতারে বাংলাদেশ

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বের টিকিট নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ, ওমান ও পাপুয়া নিউগিনি বাধা টপকাতে হবে স্কটল্যান্ডকে। বাছাইপর্বে স্কটিশদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ থাকবে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বাংলাদেশকে মোকাবেলা করা। তবে ওমান ও পাপুয়া নিউ গিনির চেয়ে বাংলাদেশকে খুব একটা বড় করে দেখছেন না স্কটল্যান্ডের প্রধান কোচ শেন বার্জার।

রোববার (১৭ অক্টোবর) ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে তুলনামূলক কঠিন প্রতিপক্ষ বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামবে স্কটল্যান্ড। শক্তি ও সামর্থ্যের বিচারে নিঃসন্দেহে এই গ্রুপে স্কটিশদের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি সাকিব-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহদের নিয়ে গড়া বাংলাদেশ। তবে নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলতে পারলে বাংলাদেশকে হারানো কঠিন কিছু হবে না বলে দাবি করেছেন স্কটিশ কোচ।

এ প্রসঙ্গে বার্জার বলেন, ‘আমরা জানি আমরা যদি সেরা ক্রিকেট খেলতে পারি তাহলে যে কোনো দলকে হারিয়ে দিতে পারি। ভালো খেলতে পারলে বিষয়টি খুবই সহজ হবে। সংক্ষিপ্ত সংস্করণের লড়াইয়ে বড় দলের সঙ্গে ছোট দলের খুব একটা পার্থক্য থাকে না। আমাদের ডেরায় কেমন ক্রিকেটার আছে তা আমরা জানি। আমরা সেরা ক্রিকেট খেলতে পারলে যে কোনো দলকে হারাতে পারি, সেটা বাংলাদেশ, ওমান কিংবা পাপুয়া নিউ গিনি যেই হোক।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা বাছাই পর্বের খেলায় বাংলাদেশকে পাপুয়া নিউ গিনি ও ওমানের চেয়ে খুব একটা উঁচুতে দেখতে পাচ্ছি না। আমরা জানি প্রতিটি দলই একে একে আমাদের দিকে তেড়ে আসবে (জয়ের জন্য)। তাদের জন্য আমরাই সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হব। সেই চ্যালেঞ্জ নিতে আমরা দারুণভাবে প্রস্তুত আছি।’

চলতি বছর পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলে তিনটিতেই হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে স্কটল্যান্ড। অন্যদিকে নিজেদের খেলা শেষ ১১ ম্যাচের ৮টিতেই জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে একচেটিয়া আধিপত্য দেখিয়েছে টাইগাররা। নিজেদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স ভালো না হলেও রবিবারের ম্যাচে বিষয়টি খুব একটা প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করেন বার্জার।

তিনি বলেন, ‘সংক্ষেপে বললে রোববার অতীতের পারফরম্যান্সগুলো বড় ধরনের কোনো প্রভাব ফেলবে না। ম্যাচের ফল নির্ভর করছে ম্যাচের দিন কেমন পারফর্ম করব তার ওপর। আমরা নিশ্চিত যে বর্তমানে আমরা নিজেদের সেরা পারফরম্যান্সের মধ্যেই আছি। আমরা কেবল স্কটল্যান্ডের দলের ওপরই মনোনিবেশ করতে চাই। সেই সঙ্গে প্রতিটি ক্রিকেটারকে দিনের সেরা পারফরম্যান্সের জন্য উৎসাহিত করতে পারি।’

 

অর্থসূচক/এএইচআর

 

  
    
উত্তর দিন