টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের রঙ লেগেছে ওমানে

ঢাকা থেকে মাসকাটের সাড়ে ৪ ঘণ্টার ফ্লাইটের ক্লান্তি নিমিষেই উধাও। মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বৈচিত্রপূর্ণ পরিবেশের এই দেশে যে কেউ পা রেখেই মুগ্ধ হবে। এ কারণেই ওমানকে বলা হয় রহস্যময় আরবের লুকোনো মুক্তা।

ওমানের জনপ্রিয় খেলাগুলোর তালিকা করতে গেলে ক্রিকেট থাকবে একেবারে নিচের দিকে। আগামী ১৭ অক্টোবর থেকেই দেশটির রাজধানী মাসকাটে বসতে চলেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম পর্ব। যদিও এর কোনো উত্তাপই নেই। আল আমারাত স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণ ছাড়া আর কোথাও ক্রিকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই ফরম্যাটের বিশ্ব আসরের প্রচারণা দেখা যায়নি। এমনকি স্থানীয় দর্শদের কাছেও এই আসর নিয়ে কোনো উন্মাদনা নেই বললেই চলে।

ওমান ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে অবশ্য যথাসাধ্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে নির্বিঘ্নে এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের। তারা বর্তমানে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিয়ে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কাভার করতে বৃহস্পতিবার রাতেই ওমানে এসেছেন বাংলাদেশের এক ঝাঁক সাংবাদিক।

মাসকাটে পা রেখে অনেকেই আল আমরাত স্টেডিয়ামের সৌন্দর্য উপভোগের লোভ সামলাতে পারেননি। এই টুর্নামেন্টকে সফলভাবে সবার সামনে তুলে ধরতে আইসিসির কর্মকর্তাও মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশে চলে এসেছেন। সবার মাঝেই বিরাজ করছে উৎসবের আবহ। এই মাঠেই স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মিশন শুরু করবে লাল সবুজের বাংলাদেশ। সর্বশেষ দুই প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের হার চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

যদিও এটাকে শুধু প্রস্তুতি হিসেবে নিলেই মূল ম্যাচে নিজেদের হয়তো মেলে ধরতে পারবেন মুশফিকুর রহিম, লিটন দাসরা। পিঠের চোটের কারণে তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচের একটিতেও খেলতে পারেননি বাংলাদেশ দলপতি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। যদিও মূল আসরে ফুল ফিট মাহমুদউল্লাহকেই পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী বাংলাদেশ শিবির।

আরব আমিরাত থেকে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে এসে একদিন বিশ্রামেই ছিল বাংলাদেশ দল। যদিও শনিবার স্থানীয় সময় বিকাল ৬টায় অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ দলের অনুশীলন। এর আগে সাড়ে ৫টায় অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ অধিনায়কের সংবাদ সম্মেলন। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই এই সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন সাংবাদিকরা। তবে এর মধ্যেও থাকছে আইসিসির বেশ কিছু বিধি নিষেধ। এদিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো বৈশ্বিক আসর আয়োজনের সুযোগ পেলেও আল আমরাত স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণ ক্ষমতা সীমিত। এখানে মাত্র ৩০০০ দর্শক মাঠে বসে খেলা দেখতে পারবেন।

ওমানে রয়েছেন অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি। বিশেষ করে মাসকাটের রুই অঞ্চলের অধিকাংশই বাংলাদেশি। তাদের উপস্থিতিতেই এবার প্রাণ ফিরে পাবে ওমানের ক্রিকেট এমনটাই প্রত্যাশা সবার।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    
উত্তর দিন