পেঁয়াজ-চিনি আমদানিতে শুল্ক কমলো

দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির মুখে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রাখতে পণ্যটির আমদানিতে বিদ্যমান ৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার করেছে সরকার। এছাড়াও চিনি আমদানিতে রেগুলেটরি ডিউটি বা নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (আরডি) আগের ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধের পর পেঁয়াজ ও চিনির দাম নিয়ন্ত্রণে শুল্ক কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের স্বাক্ষর করা এ সংক্রান্ত দুটি পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কোনো ধরনের ফ্লেভার বা রং যুক্ত করা ছাড়া চিনি (মূলত বিট চিনি) ও অন্যান্য আখের চিনির ক্ষেত্রে রেগুলেটরি ডিউটি ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। অপরদিকে পেঁয়াজের ওপর থেকে আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এই প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর করা হবে। পেঁয়াজের ক্ষেত্রে শুল্ক প্রত্যাহারের প্রজ্ঞাপন আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত, আর চিনির ওপর থেকে শুল্ক হ্রাসের প্রজ্ঞাপন ২০২২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

এর আগে গত ১১ অক্টোবর পেঁয়াজের শুল্ক প্রত্যাহার, অপরিশোধিত সয়াবিন তেল, পাম তেল ও চিনির শুল্ক কমাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে অনুরোধ জানায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ওইদিন দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে নিত্যপণ্যের মজুত, সরবরাহ, আমদানি, মূল্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে আয়োজিত সভায় এ অনুরোধ জানানো হয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুরোধ জানানোর তিনদিনের মাথায় পেঁয়াজ ও চিনি আমদানির শুল্ক কমানো হলো। আজ (১৪ অক্টোবর) থেকেই নতুন শুল্কহার কার্যকর হবে।

এদিকে, পূজার কারণে ভারত থেকে পেঁয়াজ কম আসা ও সেখানে দাম বাড়ার অজুহাতে সম্প্রতি দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। কেজিপ্রতি ৪৫ টাকা বিক্রি হওয়া পেঁয়াজের দাম হুট করে বেড়ে হয় ৮০ টাকা। এর প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে গত ১১ অক্টোবর বৈঠকে বসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এরপর পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমে এখন ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.