‘অধিকাংশ কোম্পানির আর্থিক হিসাবে বাস্তবতার প্রতিফলন নাই’

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, পুঁজিবাজারের আকার বাড়াতে অনেক কোম্পানি তালিকাভুক্ত করা দরকার। এজন্য আমাদের প্রয়োজন সঠিক নিরীক্ষা প্রতিবেদন। তবে আমরা প্রায়ই আর্থিক হিসাবে বাস্তব অবস্থার প্রতিফলন পাই না। যে কারণে আমাদের সঠিক নিরীক্ষিত আর্থিক হিসাব খুবই দরকার।

আজ সোমবার (১১ অক্টোবর) ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ উপলক্ষে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি) আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএপিএলসি সভাপতি আজম জে চৌধুরী।

শেখ সামসুদ্দিন বলেন, ভারতের শেয়ারবাজারে ৫২০০ কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে। যার সংখ্যা ভিয়েতনামে ৭৫০টি। কিন্তু বাংলাদেশের এর সংখ্যা মাত্র ৩৮৮টি, সেটাও মিউচ্যুয়াল ফান্ডসহ। এই অবস্থায় জিডিপির অনুপাতে পুঁজিবাজারের অনুপাত বাড়াতে হলে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা বাড়ানো দরকার। কারণ আমাদের জিডিপির অনুপাতে পুঁজিবাজারের অনুপাত মাত্র ২১ শতাংশ। যেখানে ভারতে ৭৬ শতাংশ ও ভিয়েতনামে ৫৭ শতাংশ।

তিনি বলেন, আগামী ৫-৭ বছরের মধ্যে আমাদেরকে জিডিপির শতভাগ মার্কেট ক্যাপিটাল করতে হবে। এক্ষেত্রে ৫ গুণ কোম্পানি তালিকাভুক্ত করতে হবে। যা ইস্যু ম্যানেজারসহ সবাইকে কাজ করতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ভালো মানের ও বিশ্বাসযোগ্য কোম্পানি পুঁজিবাজারে আনতে হবে।

বিএসইসির এই কমিশনার বলেন, তালিকাভুক্ত হওয়ার পরেও একটি কোম্পানির অনেক দায়িত্ব থাকে। এরমধ্যে একটি সঠিক মূল্য সংবেদনশীল তথ্য (পিএসআই) প্রকাশ করা অন্যতম। তবে মাঝেমধ্যে কিছু ব্যতিক্রম পাওয়া যায়। আমাদেরকে সঠিক পিএসআই প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে সুশাসন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

একটি কোম্পানিতে পরিচালনা পর্ষদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে উল্লেখ করে শেখ সামসুদ্দিন বলেন, কোম্পানিতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তাদেরকে কাজ করতে হবে। এটা শুধু বিএসইসির দায়িত্ব না। তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বিএসইসি কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য আমরা নিয়মিত আইন-কানুন করে যাচ্ছি। যা পুঁজিবাজারের পরিবেশ উন্নয়নসহ এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখছে।

অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে ছিলেন এমসিসিআই সভাপতি নিহাদ কবির, ডিএসই চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান, সিএসই চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম ও এসিআই লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম. আনিস উদ দৌলা। আর অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রিভারস্টোন ক্যাপিটালের প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা আশরাফ আহমেদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিএপিএলসির ভাইস প্রেসিডেন্ট রিয়াদ মাহমুদ।

অর্থসূচক/এমএস/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.