একদিনে আরও ২১১ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি

দেশে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন করে আরও ২১১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ১৬৪ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৭ জন।

রোববার (১০ অক্টোবর) বিকেলে সারাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি থাকা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৬৭ জনে। ঢাকার ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৭৯৫ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৭২ জন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে আজ (১০ অক্টোবর) পর্যন্ত হাসপাতালে সর্বমোট রোগী ভর্তি হয়েছেন ২০ হাজার ১২৯ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১৯ হাজার ৮৬ জন রোগী। ডেঙ্গুতে এ সময়ে ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারিতে ৩২ জনের দেহে ডেঙ্গু শনাক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে বছর শুরু হয়। জুনে এটা ১৭২ জনে ওঠে। জুলাই মাসে সেটিই হয়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ২৮৬ জন। তাতে সব মিলিয়ে এ বছরের প্রথম সাত মাসে ডেঙ্গুতে মোট শনাক্ত দাঁড়ায় ২ হাজার ৬৫৮ জন। জুলাই থেকেই পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হতে শুরু করে। আগস্টে এসে চিত্রটি উদ্বেগজনক হয়ে পড়ে। ওই মাসটিতে ডেঙ্গু রোগী দাঁড়ায় সাত হাজার ৬৯৮ জনে। এরপর সেপ্টেম্বর মাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে সাত হাজার ৮৪১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আর এই মাসের প্রথম আট দিনেই এক হাজার ৯৩২ জন।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানিয়েছে, বছরের প্রথম সাত মাসে ১২ জনের মৃত্যু হলেও পরের এক মাসেই (আগস্ট) ৩৩ জনের মৃত্যু হয়। এরপর সেপ্টেম্বর মাসে ২৩ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। আর অক্টোবরের প্রথম সাত দিনে ৭ জনের মৃত্যু হয়। সবমিলিয়ে ডেঙ্গু উপসর্গ নিয়ে চলতি বছর ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এর আগে ২০১৯ সালে ডেঙ্গুর প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করে। সেই বছর এক লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। মারা যায় ১৪৮ জন। ডেঙ্গুতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয় ২০০২ সালে, সেবার ৫৮ জনের মৃত্যুর সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। এছাড়া ২০০১ সালে ৪৪ জন মারা যায়। ২০১৯ সালে ডেঙ্গু ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সৃষ্টি করলেও করোনা মাহামারির মধ্যে ২০২০ সালে ডেঙ্গু তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। তবে এবার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.