ব্যবসা-বাণিজ্যে চীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অংশীদার: বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, চীনের সাথে আমাদেও ব্যবসা-বাণিজ্য ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। ব্যবসা ও উন্নয়ন কার্যক্রমের বিবেচনায় চীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অংশীদার। রপ্তনি পণ্যের কাঁচামাল, এক্সেসরিজসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীনের ওপর বাংলাদেশ অনেকাংশে নির্ভরশীল। ফলে দুই দেশের সম্পর্কে রাজনীতির চেয়ে ব্যবসার গুরুত্ব বেশি।

আজ রোববার (১০ অক্টোবর) বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রি (বিসিসিসিআই) ও ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

‘বাংলাদেশ-চীন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর সেরা রিপোটিং অ্যাওয়ার্ড’ বিতরণ উপলক্ষে রাজধানীর পল্টনে ইআরএফ কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত থেকে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকাস্থ চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে পুরো পৃথিবীটাই ব্যবসার ওপর চলছে। বৈশ্বিক রাজনীতি এখন অর্থনৈতিক রাজনীতি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে থাকেন শুধু রাজনৈতিক কুটনীতিতে হবে না। ব্যবসা বাণিজ্যের বিষয়ে কুটনীতি করতে হবে। সেই কুটনীতিতে যে সফল হবে, সে-ই প্রকৃত সফল।

তিনি বলেন, ব্যবসা ও উন্নয়ন কার্যক্রমের বিবেচনায় চীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অংশীদার। বাংলাদেশ যত কাঁচামাল আমদানি করে তার বড় অংশই আসে চীন থেকে। এজন্য করোনা মহামারী শুরুর সময় সবাই দুশ্চিন্তায় পড়েছিলো যে কাঁচামাল সরবরাহের কি হবে। কাঁচামাল না পাওয়া গেলে সময়মত পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব হবে না। বিশেষকরে তৈরি পোশাক শিল্প। এছাড়া এক্সেসরিজ খাতেও একই অবস্থা সৃষ্টি হয়। যদিও এক্সেসরিজে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। তারপরও চীনের ওপর নির্ভরশীলতা রয়েছে। এছাড়া দেশের মধ্যে যত বড় বড় নির্মাণ কার্যক্রম আছে, তার অনেকক্ষেত্রেই চীনের অংশগ্রহণ আছে। ফলে দুই দেশের সম্পর্কে রাজনীতির চেয়ে ব্যবসার গুরুত্ব বেশি।

ঢাকাস্থ চায়নিজ রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, চীন বৈশ্বিক উন্নয়নে কাজ করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। মানব কল্যাণ এবং কাউকে পেছনে ফেলে নয় এমন উন্নয়ন চায় চীন। এজন্য আঞ্চলিক উন্নয়ন ও বিভিন্ন উদ্ভাবনে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশও চীনের এই বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ থেকে সহায়তা পাবে।

তিনি আরও বলেন, গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের অসাধারণ অগ্রগতি হয়েছে। সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) নির্ধারিত সময়ে অর্জন হয়েছে। আগামী উন্নয়ন লক্ষ্যগুলোও সময়মত অর্জন হবে। ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণ ঘটবে বাংলাদেশের। আর ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ৩৫ তম অর্থনীতিতে রূপান্তরিত হবে।

বিসিসিসিআইয়ের যুগ্ম মহাসচিব আল মামুন মৃধার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির মহাসচিব শাহাজাহান মৃধা বেনু এবং ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিসিসিসিআই সভাপতি গাজী গোলাম মুর্তজা ও ইআরএফ সভাপতি শারমীন রিনভী।

অর্থসূচক/এমএস/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.