ভারত থেকে এলো আরও ১০ লাখ টিকা

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা করোনা ভাইরাসের ১০ লাখ ডোজ কোভিশিল্ডের টিকা দেশে পৌঁছেছে। আজ শনিবার (০৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসব টিকা পৌঁছায়।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক টিকা আসার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে ১০ লাখ কোভিশিল্ডের টিকা সন্ধ্যা ৫টা ৫৪ মিনিটে এসে পৌঁছেছে।

এর আগে, ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন এক ক্ষুদে বার্তায় জানায়, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে বেক্সিমকোর চুক্তি করা বাণিজ্যিকভাবে ১ মিলিয়ন কোভিশিল্ডের টিকা শনিবার বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে ঢাকায় আসবে।

ভারত থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার মোট টিকা এসেছে এক কোটি তিন লাখ। এরমধ্যে ভারতের উপহারের টিকা ছিল ৩৩ লাখ। আর ভারত থেকে কেনা টিকা এসেছে ৭০ লাখ। চলতি বছর ২৫ জানুয়ারি ভারত থেকে কেনা ৫০ লাখ টিকার প্রথম চালান আসে। ২৩ ফেব্রুয়ারি ভারত থেকে কেনা টিকার দ্বিতীয় চালান আসে। এরপর ভারত থেকে কেনা টিকার চালান আর আসেনি।

এদিকে ভারত বাংলাদেশকে তিন দফায় ৩৩ লাখ টিকা উপহার দেয়। ভারত প্রথম দফায় চলতি বছর ২১ জানুয়ারি বাংলাদেশকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২০ লাখ টিকা উপহার দেয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঢাকা এসে ১২ লাখ টিকা উপহার দেন। আর তৃতীয় দফায় ভারতের সেনা প্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নরভানে ৮ এপ্রিল ঢাকায় এসে এক লাখ টিকা উপহার দেন।

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছিল। সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি কোভিশিল্ড টিকার তিন কোটি ডোজ কিনতে চুক্তি করেছিল সরকার। কিন্তু ৭০ লাখ ডোজ আসার পর ভারত রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়, ফলে আর চালান আসেনি। এতে বাংলাদেশকে বেশ অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়। বিশেষ করে অসুবিধায় পড়েন যারা কোভিশিল্ডের প্রথম টিকা নেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন। পরে অবশ্য চলতি বছরের জুলাই মাসে জাপান থেকে উপহারের অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার চালান দেশে আসার পর দ্বিতীয় ডোজের জন্য অপেক্ষায় থাকাদের টিকা দেওয়া শুরু হয়।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.