আগামী নির্বাচনে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না: কাদের

নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে বর্তমান সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না। দেশে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ হলেই কেবল নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব হবে। এই লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি সবাইকে নিয়ে সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন।

আজ মঙ্গলবার (০৫ অক্টোবর) বেলা ১১টায় সাভারের আমিনবাজারে নির্মাণাধীন ৮ লেনের সেতু পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশে ঠিক সেভাবেই নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষের দিকে। প্রধানমন্ত্রী গতকাল বলেছেন সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলোচনার পর সার্চ কমিটি গঠন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে।

তিনি বলেন, এই নির্বাচন কমিশন নিয়ে সংশয় থাকার কোনো কারণ নেই। এখানে বিএনপিরও প্রতিনিধিত্ব থাকে। এখন যে নির্বাচন কমিশন আছে এখানেও তাদের একজন দলীয় কমিশনার আছেন। যিনি প্রায়ই বক্তব্য দিয়ে থাকেন এবং নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের সঙ্গে দ্বিমত করেন। বিএনপি যে সুরে কথা বলে, তাদের নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিও সেই সুরেই কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশনের এখানে খেলাধুলা করার প্রয়োজন নেই। নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। নির্বাচনে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না। আমাদের সংবিধানে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বের বিষয়ে বলা আছে। নির্বাচন কমিশনের অধীনে প্রশাসনিক এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এমনকি সেনাবাহিনীর টাস্কফোর্সও দায়িত্ব পালন করে থাকে। সেটা সরকারের অধীনে থাকে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তখন চলে যায় নির্বাচন কমিশনের অধীনে।

বিএনপির আন্দোলনের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাজে ভাষা বিএনপির মুখে শোভা পায়। তারা ২০১৩, ২০১৪ সালে আন্দোলনের নামে সহিংসতা সৃষ্টি করেছে। মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে, বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে, রেলের লাইন পুড়িয়েছে, এমনকি তারা ভূমি অফিস পুড়িয়েছে। তারা আসলে আন্দোলনের নামে সহিংসতা করতে চায়।

তিনি আরও বলেন, আমরাও প্রস্তুত রয়েছি। আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে করার অধিকার সকল গণতান্ত্রিক দলের রয়েছে। কিন্তু আন্দোলনের নামে যদি সহিংসতা হয় এবং জনগণের জানমালের জন্য হুমকি সৃষ্টি করা হয় সে অবস্থায় আওয়ামী লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ করবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কেউ সহিসংতা করলে জনগণকে নিয়ে কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।

আমিনবাজার সেতু বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমিনবাজারে ২০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮ লেনে ২৩২ দশমিক ৯৪ মিটার দৈর্ঘ্যের ২য় সেতুর প্রায় ২৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়, যা আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ হওয়ার কথা।

গত বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য টিউলিপ সিদ্দিকের গাড়িতে দুর্বৃত্তদের হামলার নিন্দা জানিয়ে এই নেতা বলেন, এ ঘটনায় ব্রিটিশ সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে। এ বিষয়ে অন্য কিছু বলা ঠিক হবে না, ব্রিটিশ সরকার কী করছে, তা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জরুল আলম রাজীব, সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ঠিকাদার লায়ন মোহাম্মদ ইমামসহ আরও অনেকে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.