রেকর্ড ভেঙে বিশাল জয়, টিকে গেলেন মমতা

মুখ্যমন্ত্রী থাকতে হলে জয়ের কোন বিকল্প ছিল না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ভবানীপুরের উপনির্বাচনে মমতার জয় নিয়ে অবশ্য কোনও সংশয় ছিল না তৃণমূল শিবিরের। চিন্তা শুধু ব্যবধানের অঙ্ক নিয়ে। উপনির্বাচনী প্রচারপর্বে মমতা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়— সকলের বক্তব্যেই ফিরে ফিরে এসেছে এই ব্যবধানের প্রসঙ্গ। উপনির্বাচনে কম মানুষ ভোট দিতে আসেন, এটা জেনেই তৃণমূল এ বার জোর দিয়েছিল ‘ভোট দিতে আসুন’ ডাকে। বৃহস্পতিবার ভোটদানের ভাল হার সে দিক থেকে খানিকটা আশ্বস্ত করে রাজ্যের শাসকদলকে।

তবে সব জল্পনা কল্পনা শেষে খবরটা স্বস্তিরই হলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অবশেষে পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীর ভাগ্য ফিরেছে। আবারও ক্ষমতায় থাকছেন তিনি। ভবানীপুরে ৫৮ হাজার ৩৮৯ ভোটে জিতলেন মমতা।

ভবানীপুর বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় বৃহস্পতিবার (৩০সেপ্টেম্বর)। আজ রোববার (০৩ অক্টোবর) ভোট গণনা শেষে ফলাফল প্রকাশ করা হলো।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পদে মমতা আর থাকতে পারছেন কিনা এনিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই শোরগোল চলছিল। সেই ভাবনার অবসান ঘটলো আজ।

ভবানীপুর উপনির্বাচনে ভোট পড়ে ৫৭ শতাংশের বেশি। গত ২৬ এপ্রিলের বিধানসভা ভোটে এই কেন্দ্রে ভোট পড়েছিল প্রায় ৬২ শতাংশ। তৃণমূলের প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জয়ী হন ২৮ হাজার ৭১৯ ভোটের ব্যবধানে।

২০১১ সালেও মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এই কেন্দ্রেই উপনির্বাচনে জিতে আসেন মমতা। ভোট পড়েছিল ৪৫ শতাংশেরও কম। মমতা জিতেছিলেন ৫৪ হাজারের কিছু বেশি ভোটে। ভবানীপুরে এ বার মোট প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ১২ জন। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী ছিলেন আইনজীবী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.