চট্টগ্রাম আদালতে বোমা হামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড

দীর্ঘ ১৬ বছর পর চট্টগ্রাম আদালতে পুলিশ চেকপোস্টে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) বোমা হামলার ঘটনায় জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমা মিজানের মৃত্যুদণ্ড ও আরেকজনের যাবজ্জীবন কারদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৩ অক্টোবর) চট্টগ্রাম সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুল হালিমের আদালত এই আদেশ দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় জাবেদকে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়েছিল। আর জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমা মিজান পলাতক রয়েছেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. ইউনুস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জাবেদ নামে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। আর জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমা মিজানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। উচ্চ আদালতে আপিল করবো।

গত ২১ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আজ রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। মামলায় আদালতে ৩২ জন সাক্ষ্য দেন। আসামিদের মধ্যে তিনজনের নাম আগেই বাদ দেওয়া হয়েছে। একজন পলাতক এবং একজন কারাগারে রয়েছেন।

২০০৫ সালের ২৯ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালত পুলিশের চেকপোস্টে বোমা হামলা চালায় জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)। এতে পুলিশ কনস্টেবল রাজীব বড়ুয়া ও বিচারপ্রার্থী ফুটবলার শাহাবুদ্দীন আহমদ নিহত হন। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় তৎকালীন নগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক হ্লা চিং প্রু ২০১৬ সালের ১৮ মে পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর একই বছরের ১৬ জুলাই মামলাটির অভিযোগ গঠন করা হয়।

এরইমধ্যে অন্য একটি মামলায় ফাঁসির আদেশ হলে এ মামলা থেকে তিন আসামির নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- জেএমবি প্রধান শায়খ আবদুর রহমান, তার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড ছিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলা ভাই এবং জেএমবির সামরিক কমান্ডার আতাউর রহমান সানি। এছাড়া মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমারু মিজান পলাতক আছেন। যাবজ্জীবন পাওয়া জাবেদ ইকবাল চট্টগ্রাম কারাগারে আছেন। গত ২১ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.