দুবে ও জয়সাওয়ালের ঝড়ে মুস্তাফিজদের জয়

আইপিএলের এবারের আসরের সেরা চারে ওঠার লড়াইয়ে টিকে থাকতে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প ছিল না রাজস্থান রয়্যালসের। এমন সমীকরণের দিনে ১৫ বল বাকি থাকতেই চেন্নাইয়ের দেয়া ১৯০ রানের বড় লক্ষ্য উতরে যায় সাঞ্জু স্যামসনের দল। চেন্নাইকে ৭ উইকেটে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ছয়ে জায়গা করে নিয়েছে রাজস্থান।

জয়ের জন্য ১৯০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে রাজস্থানকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন এভিন লুইস ও ইয়াশভি জয়সাওয়াল। ইনিংসের প্রথম ওভার থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করতে থাকেন তাঁরা দুজন। উদ্বোধনী জুটিতে লুইস ও জয়সাওয়াল মিলে ৭৭ রান তোলেন। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে শার্দুল ঠাকুরের বলে জশ হ্যাজেলউডের হাতে ক্যাচ দিয়ে লুইস ফিরলে ভাঙে তাঁদের এই জুটি।

১২ বলে ২৭ রান করার দিনে সমানসংখ্যক দুটি করে ছক্কা ও চার মারেন লুইস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মারকুটে এই ব্যাটসম্যান ফেরার পর হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন জয়সাওয়াল। ১৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করা জয়সাওয়াল সাজঘরে ফেরেন পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পরের ওভারে। কেএম আসিফের বলে আউট হওয়া বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান করেছেন ২১ বলে ৫০ রান। ইনিংসটি খেলতে ছয়টি চার ও তিনটি ছক্কা মেরেছেন তরুণ এই ওপেনার।

এরপর তিনে নামা স্যামসন ও চারে নামা শিভাম দুবে মিলে দারুণ এক জুটি গড়েন। একেবারে শুরু থেকেই চেন্নাইয়ের বোলারদের ওপর চড়াও হতে থাকেন দুবে। সংযুক্ত আরব আমিরাত পর্বে প্রথমবার সুযোগ পাওয়া দুবে এদিন হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন ৩১ বলে। দুবেকে দারুণভাবে সঙ্গ দেয়া অধিনায়ক স্যামসন ফেরেন ব্যক্তিগত ২৮ রানে।

রাজস্থানকে দারুণ এক জয় এনে দুবে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৪২ বলে ৬৪ রান করে। স্যামসন আউট হওয়ার পর প্রথমবারের মতো খেলতে নেমে সমানসংখ্যক একটি করে চার ও ছক্কা মেরে৮ বলে ১৪ রান করেন গ্লেন ফিলিপস। চেন্নাইয়ের হয়ে ৩০ রানে দুটি উইকেট নিয়েছেন শার্দুল।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে চেন্নাইকে দারুণ শুরু করেন রুতুরাজ ও ফাফ ডু প্লেসি। উদ্বোধনী জুটিতে তাঁরা দুজনে মিলে যোগ করেন ৪৭ রান। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পরের ওভারে রাহুল তেওয়াতিয়ার বলে স্টেপ আউট করে মারতে গিয়ে বলের লাইন মিস করেন ডু প্লেসি।

বল গ্লাভস বন্দি করে উইকেট ভাঙতে সময় নেননি স্যামসন। দক্ষিণ আফ্রিকার ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ২৫ রান করে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে তাঁদের ৪৭ রানের জুটি। তিনে নেমে থিতু হতে পারেননি সুরেশ রায়না। তেওয়াতিয়ার বলে তুলে মারতে গিয়ে সীমানার কাছে দাঁড়িয়ে থাকা দুবের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ৩ রান করা রায়না।

চারে নেমে ভালো শুরু করেন মঈন আলি। তবে তাঁকে ইনিংস বড় করতে দেননি তেওয়াতিয়া। ডু প্লেসির মতো তেওয়াতিয়ার বলে স্টেপ আউট করে মারতে গিয়ে স্টাম্পিং হয়েছেন ২১ রান করা মঈন। এর মাঝে আইপিএলের ক্যারিয়ারের সপ্তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। হাফ সেঞ্চুরি পেতে ৫১ বল খেলেন রুতুরাজ।

পাঁচে নেমে সুবিধা করতে পারেননি আম্বাতি রাইডু। চেতন সাকারিয়ার বলে ছক্কা মারতে গিয়ে সীমানার কাছে ক্যাচ আউট হয়েছেন ২ রান করা রাইডু। ছয়ে নেমে রুতুরাজকে দারুণভাবে সঙ্গ দেন রবীন্দ্র জাদেজা। ইনিংসের শেষ বলে মুস্তাফিজকে ছক্কা মেরে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন রুতুরাজ। ৬০ বলে সেঞ্চুরি করার দিনে নয়টি চার ও পাঁচটি ছক্কা মেরেছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। এদিকে তাঁকে সঙ্গ দেয়া জাদেজা করেছেন ১৫ বলে ৩২ রান। রাজস্থানের হয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন তেওয়াতিয়া। বাকি একটি উইকেট নিয়েছেন সাকারিয়া।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.