‘ক্লিনফিড না চলায় দেশের অর্থনীতি-মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে’

বিদেশি টিভি চ্যানেলের বিজ্ঞাপনমুক্ত বা ক্লিনফিড না চলার কারণে দেশের অর্থনীতি, শিল্পী, শিল্প, সংস্কৃতি ও মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার (১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ইমপ্রেস গ্রুপের কার্যালয়ে চ্যানেল আই টেলিভিশনের ২৩তম বর্ষে পদার্পণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বিদেশি টিভি ক্লিনফিড না চালানোর কারণে কয়েক হাজার কোটি টাকা, যা দেশে লগ্নি হতো, তা বিদেশের চ্যানেলে লগ্নি হয়। আইন ভঙ্গ করে বিদেশি চ্যানেলে যদি বিজ্ঞাপন না দেখানো হতো, তবে দেশের মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি লাভবান হতো, অর্থাৎ দেশের অর্থনীতি লাভবান হতো।’

ক্লিনফিড না চলার কারণে শুক্রবার থেকে দেশে বিজ্ঞাপনসহ বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ক্লিনফিড না চলার কারণে দেশের অর্থনীতি, শিল্পী, শিল্প, সংস্কৃতি ও মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সেকারণেই আমরা এ পদক্ষেপ নিয়েছি।

ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নিয়ে একটি নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে, খসড়া সম্পন্ন হয়েছে। নীতিমালা পাস হলে, প্ল্যাটফর্মগুলোকে তা অনুসরণ করতে হবে, এর কোনো ব্যত্যয় হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে বিদেশি টিভি চ্যানেলের বিজ্ঞাপনমুক্ত বা ক্লিনফিড সম্প্রচার বাস্তবায়নের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে দেশের টিভি চ্যানেল মালিকদের সংগঠন ‘অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স-এটকো’ এবং টিভি চ্যানেলগুলোতে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ‘ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার-বিজেসি’। দেশের টিভি চ্যানেলগুলোতে মন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে স্ক্রল প্রচারের পাশাপাশি বিজেসি এ নিয়ে লিখিত বিবৃতিও দিয়েছে।

বিজেসির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘২০০৬ সালের ক্যাবল নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইনে এ বিধান থাকলেও আগে কখোনই এটি কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর পদক্ষেপকে স্বাগত জানায় ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার-বিজেসি। এতে দেশীয় টেলিভিশন চ্যানেল শিল্পের আর্থিক সংকট কমবে এবং উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সম্প্রচারকর্মীরাও এর সুফল পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।’

অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন, সাদী মোহাম্মদ, চ্যানেল আই’র পরিচালক শাইখ সিরাজসহ চ্যানেলটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.