‘নিজ অর্থায়নে পদ্মা সেতুর চেয়েও বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর চেয়েও বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের সক্ষমতা বাংলাদেশের রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ পার্কে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত ‘স্বপ্নের রূপকার’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, মানুষের মাথাপিছু আয়, জিডিপির প্রবৃদ্ধি, বৈদেশিক রিজার্ভসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক সূচকে বাংলাদেশ অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। অর্থনীতিতে দেশে বিপ্লব সাধিত হয়েছে। তাই শুধু পদ্মা সেতু নয়, দেশের উন্নয়নে এরকম আরও বড় বড় প্রকল্প গ্রহণ করে তা বাস্তবায়নের সক্ষমতা সরকারের রয়েছে। একমাত্র শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়া সম্ভব।

তাজুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশ যখন সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে তখন দেশের ভেতরে এবং বাইরে ষড়যন্ত্র চলছে। দেশের উন্নয়নকে ব্যাহত, দেশের মানুষকে দরিদ্র ও ভিখারি করে রাখতেই তাদের এই ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যত ষড়যন্ত্রই করা হোক না কেন, সব অশুভ শক্তিকে মোকাবিলা করার মতো সাহস ও শক্তি আমাদের রয়েছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমরা বাঙালি জাতি অনেক বেশি ঋণী। কারণ বঙ্গবন্ধু শহীদ হওয়ার পর তিনি যদি দেশে ফিরে বাঙালি জাতির ভাগ্য উন্নয়নের দায়িত্ব না গ্রহণ করতেন, মাঠে-ঘাটে, হাট-বাজার, পথে-প্রান্তরে ঘুরে ঘুরে সারাবাংলার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ না করতেন, তাহলে আজকের বাংলাদেশ গড়া অসম্ভব ছিল। পুরো বিশ্বে বাংলাদেশ আজ মর্যাদাপূর্ণ দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণেই মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে দেশকে পুনর্গঠনে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করে। আজ শুধু ঢাকা শহরে নয়, সারাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও পরিবর্তন এসেছে। এই পরিবর্তনের ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালের আগেই উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছাব, ইনশাল্লাহ।

তাজুল ইসলাম আরও বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনা সরকারের কমিউনিটি ক্লিনিক, বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ বিভিন্ন চলমান উন্নয়ন প্রকল্প ও উদ্যোগ বন্ধ করে দেয়। দেশে শুরু হয় আবারও বিপর্যয়। এরপর দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করার পাশাপাশি শিক্ষা, কৃষি, অবকাঠামো, যোগাযোগসহ সব ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন শুরু হয়। যা এখনো চলমান রয়েছে। সঠিক পরিকল্পনা ও করণীয় ঠিক করে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী।

পরে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বস্তিবাসীদের জন্য টিকা কর্মসূচির উদ্বোধন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন পরিদর্শন করেন।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগ দেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.