‘দেশ ও মানুষের প্রয়োজনকেই প্রাধান্য দেয় ওয়ালটন’

জাতিসংঘের এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশের টেক জায়ান্ট খ্যাত ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুর্শেদ। তিনি বলেছেন, কোভিড-১৯ আমাদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জের ছিলো। কিন্তু আমরা থেমে থাকি নি।

রোববার সন্ধ্যায় (২৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে অনুষ্ঠিত ব্যবসা ও অর্থনীতি বিষয়ক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, করোনাকালে আমরা সেফটি গগলস, ফেস শিল্ডসহ বিভিন্ন সুরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন শুরু করি। ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ রেখে দেশ ও মানুষের সুরক্ষায় পিপিই সংগ্রহ ও বিতরণ করি। করোনাকালে মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় পণ্যটি পৌঁছে দেয়া ছিলো আমাদের প্রধান দায়িত্ব। দেশের মানুষের প্রয়োজনটাই আমাদের মূল ফোকাস ছিলো। করোনার সময়ে ওয়ালটনের নেয়া এসব উদ্যোগ ও কার্যক্রম বেসরকারি খাতে অন্যদের উৎসাহিত করে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের আয়োজনে ৫ম বারের মতো অনুষ্ঠিত এই আন্তর্জতিক সম্মেলনের মূল থিম ছিলো ‘বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমি ইন দ্য নিউ-নরমাল ল্যান্ডস্কেপ’। এতে কোভিড-১৯ সময়ে পরিবর্তিত পরিস্থিতির মধ্যে ব্যবসায়িক চ্যালেঞ্জ ও তা মোকাবেলার উপায় নিয়ে বক্তারা আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সম্মানিত অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ.এস.এম. মাকসুদ কামাল, ট্রেজারার প্রফেসর মমতাজ উদ্দীন আহমেদ, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন ড. মুহাম্মদ আব্দুল মঈন এবং একই অনুষদের শিক্ষক প্রফেসর ড. এম. সাদিকুল ইসলাম।

গোলাম মুর্শেদ বলেন, দেশ যখন মহাবিপদে, তখন আমরা ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ রেখে দেশের প্রয়োজনে ঝাঁপিয়ে পড়ি। করোনার প্রকোপ কমে এলে আমরা আবার ব্যবসা কার্যক্রম শুরু করি। মহামারির মধ্যেও আমাদের ব্যবসা খুব ভালো গিয়েছে। এ সময়ে ওয়ালটনের ইলেকট্রনিক্স পণ্য রপ্তানি ১.৪ মিলিয়ন ডলার থেকে ১৪ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, মহামারির মধ্যেও দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন কার্যক্রম সচল ছিলো। মাতারবাড়ি প্রকল্প, পদ্মা সেতু, রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ সব কার্যক্রম চালু ছিলো। একইভাবে ওয়ালটনের আরএন্ডডি (গবেষণা ও উন্নয়ন) খাতও চমৎকার কাজ করেছে।

করোনা আমাদের জন্য খুব খারাপ হতে পারে, কিন্তু দেশের প্রয়োজনে বাঙালি যে সব করতে পারে, সেটা করোনার মধ্যে আরেকবার প্রমাণিত হয়েছে। নতুন নতুন প্রযুক্তি ও পণ্যের গবেষণা ও উদ্ভাবনে (রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন) বেসরকারি শিল্পখাত এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যৌথভাবে কাজ করতে যাচ্ছে। খুব শিগগিরই আমরা আরো ভালো কিছু পেতে যাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এমদাদুল হক সরকার, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শাহজাদা সেলিম এবং অ্যাডিশনাল অপারেটিভ ডিরেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.