পরীক্ষা থেকে লিভ নিয়ে জানলেন মা আর বেঁচে নেই

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইংরেজি বিভাগের ১৪তম ব্যাচের ছাত্র রাজীব মোহাম্মদ। সহপাঠীদের সঙ্গে অনলাইন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন পরীক্ষা শুরুর আধা ঘণ্টা পর পরিদর্শক থেকে মায়ের শারীরিক অবস্থা জানিয়ে লিভ নেওয়ার অনুমতি চাইলেন রাজীব। এরপর দেখলেন মা আর বেঁচে নেই।

রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে এমন করুণ অবস্থার মুখোমুখি হলেন ঢাবির এ ছাত্র।

রাজীবের সহপাঠী শরীফ মিয়া বলেন, আমরা সবাই পরীক্ষা দিচ্ছিলাম। সকাল ১০টার কিছু আগে রাজীব লিভ নেয়। পরে আমরা জানতে পারি ওর মা মারা গেছে। আসলে এটা কঠিন পরিস্থিতি। অথচ আজকে আমাদের আনন্দ করার কথা। আমরা সবাই শোকাহত।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সহপাঠী আল আমিন সরকার লিখেছেন, অনলাইন পরীক্ষা চলছিল। প্রায় ৩০ মিনিট অতিক্রান্ত হয়েছে এমন অবস্থায়, হঠাৎ কান্নার শব্দ পেলাম। ডিসপ্লেতে তাকিয়ে দেখি বন্ধু রাজীবের চোখে পানি। রাজীব বলতেছে, ম্যাম, ম্যাম….., ম্যাম, আমি কী লিভ নিতে পারি! আমার মায়ের কী যেন হয়েছে। এক মিনিট পর লিভ নেওয়ার অনুমতি পেলেন তিনি। এইতো কিছুক্ষণ আগে শুনলাম তার মা আর ইহজগতে নেই! আমরা পরীক্ষা শেষ করে কেবলই একটা ফুরফুরে মেজাজে হাসিখুশিতে মেতে উঠছিলাম আর বন্ধুর জীবনে কত বড় পরীক্ষা হয়ে গেল। মৃত্যু কত নিষ্ঠুর কখন ডাক আসবে কেউ জানে না। আল্লাহ উনাকে মাগফিরাত দান করে জান্নাত দান করুক এবং আমার বন্ধু ও তার পরিবারকে যেন ধৈর্য ধারণ করার তৌফিক দান করেন, আমিন।

অর্থসূচক/এএইচআর

 

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.