রাগ ভাঙাতে ম্যাখোঁর সঙ্গে কথা বলতে চান বাইডেন

অস্ট্রেলিয়ার রাগ কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দিন কয়েকের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর সঙ্গে ফোনে কথা বলবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। খবর- এপির

সংবাদমাধ্যম এপি ফ্রান্সের একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে সম্ভাব্য এ ফোনালাপের খবর জানিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ফ্রান্স সরকারের মুখপাত্র গ্যাব্রিয়েল আত্তাল জানিয়েছেন, বাইডেনের অনুরোধেই এ ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

এদিকে সম্প্রতি নিরাপত্তা বিষয়ক চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া। সেই চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের পক্ষ থেকে অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক সাবমেরিন নির্মাণের জন্য উন্নত প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। চুক্তিটির পর প্যারিসের সঙ্গে কয়েকশো কোটি ডলারের সাবমেরিন নির্মাণ চুক্তি বাতিল করে দেয় অস্ট্রেলিয়া। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখায় ফ্রান্স। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতদেরও দেশে ফেরানো হয়।

ফরাসিরা মনে করছেন, তাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া থেকে রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠিয়েছে ফ্রান্স সরকার। স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকও।

ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ অবস্থায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে কথা বলতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফরাসি সরকারের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, শিগগিরই এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্টই কথা বলতে চেয়েছেন।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর, ২০১৬ সালে ফ্রান্সের কাছ থেকে ডিজেলচালিত সাবমেরিন কিনতে কয়েকশ কোটি ডলারের চুক্তি করেছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু সেটি বাদ দিয়ে এবার পারমাণবিক শক্তিচালিত অত্যাধুনিক সাবমেরিন তৈরিতে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের সঙ্গে চুক্তি করেছে অজি সরকার।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর ফ্রান্সের সঙ্গে আগের চুক্তিটি স্থগিত করার তথ্য নিশ্চিত করেছেন খোদ অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। তার কথায়, ‘আঞ্চলিক নিরাপত্তায় দ্রুত পরিবর্তন’ আসার কারণে প্রচলিত সাবমেরিনগুলো চাহিদার ‘অনুপযুক্ত’ হয়ে পড়েছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া থেকে রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠালেও যুক্তরাজ্য থেকে ডাকেনি ফ্রান্স। এ বিষয়ে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রান্স ২ টিভিকে বলেছেন, যুক্তরাজ্য থেকে রাষ্ট্রদূতকে ডেকে ব্যাখ্যা চাওয়ার দরকার নেই। কারণ, যুক্তরাজ্য বরাবরই সুবিধাবাদী নীতিতে চলে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.