মাসে ২ কোটি টিকা দেবে সরকার

করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে মাসে ২ কোটি ডোজ টিকা দেয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে সরকার। রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে অধিদপ্তরের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে টিকাদানের এ পরিকল্পনার কথা জানান মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম।

তিনি বলেন, ‘টিকা সরবরাহ এখন বেশ ভালো। আমাদের হাতে পর্যাপ্ত টিকা রয়েছে। আমার সামনের দিনগুলোতে টিকা পাওয়ার উৎসও নিশ্চিত করেছি।

‘এই ধারবাহিকতায় মাসে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ১ কোটি থেকে ২ কোটি টিকা দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছি। সে লক্ষে মাঠপর্যায়ে টিকাদান কর্মসূচিকে আরও কী করে বাড়ানো যায় বা সম্প্রসার করা যা এ বিষয়ে আমরা সচেষ্ট আছি।’

খুরশীদ আলম বলেন, ‘প্রতি সপ্তাহে এক দিন নিবন্ধিত ও ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের স্পট রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। আমরা টিকা দেয়ার সময় মাথায় রাখি যারা বয়স্ক তারা যেন আগে টিকাটা পান।

‘আমাদের পর্যালোচনা উঠে আসছে, ৬০ বছরের বেশি বয়সী জনগোষ্ঠী বেশির ভাগ ক্ষেত্রে করোনা সংক্রমিত হয়েছে। তাদের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যাও বেশি। তাদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদে যেদিন ২ দিন নিয়মিত টিকাদান থাকবে না, সপ্তাহে এমন দুই দিন টিকা দেয়া হবে। টিকা প্রত্যাশীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে নিবন্ধন করবেন এবং এসএমএস আসার পর টিকা নেবেন। আইসিটি বিভাগ ইউনিয়নের নাম ব্যবহার করে টিকা প্রতাশীদের কাছে এসএমএস পাঠাবে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠানে টিকাকেন্দ্র ছিল তা সরিয়ে নেয়া হবে। এখন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশাপাশি উপজেলা অডিটোরিয়ামে টিকাকেন্দ্র করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। একইসঙ্গে বড় হল রুমেও টিকা কেন্দ্র করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের টিকার বিষয়ে একটি নির্দেশনা দিয়েছেন, সেই নির্দেশনা অনুযায়ী শিশুদের টিকার আওতায় আনার কাজ করে যাচ্ছি। আমরা প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন মাথায় রেখেই কীভবে দ্রুত সময়ের মধ্যে টিকার আওতায় আনা যায়, তার চেষ্টা করছি।’

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ায় সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে এ কাজ করার কথা জানান তিনি।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.