ছাত্রের পায়ে শিকল, দুই শিক্ষক কারাগারে

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ৩ মাদ্রাসাছাত্রের পায়ে শিকল পরিয়ে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে সুপারসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে উপজেলার পানপাড়া বাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন- পানপাড়া বাজারে দারুল কোরআন এবতেদায়ি মাদরাসার সুপার মো. শহিদুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষক মো. আশেক এলাহী তারেক।

পুলিশ সুত্রে জানা যায়, শহিদুল ইসলাম পানপাড়া বাজারে দারুল কোরআন মাদরাসা ২০১৮ সালে চালু করেন। তার বাবা মফিজুল ইসলামকে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি, স্ত্রী রাশেদ বেগম ও নিজের নিকটাত্মীয়দের নিয়ে মনগড়া পরিচালনা কমিটি করেন। সম্প্রতি কারণে-অকারণে মাদরাসার নাজেরা বিভাগের তিন ছাত্রের পায়ে শিকল পরিয়ে রাখা হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে এক ছাত্রের নানি থানায় মামলা করেন।

মামলার বাদী বলেন, আমরা শিশুদের মাদরাসায় পাঠাই পড়ার জন্য। কিন্তু পায়ে শিকল বেঁধে রাখায় তারা মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমি অভিযুক্তদের বিচার চাই।

গ্রেপ্তারের আগে অভিযুক্ত মাদরাসার সুপার শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা ষড়যন্ত্রের শিকার। পাশে একটি নতুন মাদরাসা হচ্ছে। এ কারণে একটি পক্ষ অপপ্রচার চালাচ্ছে।

এ ব্যাপারে রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, মামলার পর দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.