বিনা ভোটেই আ.লীগের ৪৩ প্রার্থী ইউপি চেয়ারম্যান

করোনার কারণে স্থগিত প্রথম ধাপের ১৬১ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ও ৯ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামীকাল সোমবার। শনিবার মধ্যরাতেই শেষ হয়েছে সব ধরনের প্রচার। তবে বাগেরহাট, চট্টগ্রাম ও খুলনায় ৪৩টি ইউপিতে ভোটের আগেই আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

জানা যায়, ভোটের আগেই বাগেরহাট, খুলনা ও চট্টগ্রামের ৪৩টি ইউনিয়ন পরিষদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন তারা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাগেরহাটে। জেলাটিতে ৬৬টি ইউপির মধ্যে ৩৮টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন না। বাকি ২৮ ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বী দলেরই বিদ্রোহী প্রার্থীরা। বিনা ভোটে জয়লাভ করা ইউপির মধ্যে বাগেরহাটের বাইরে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে ৪টি এবং খুলনার ১টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

আগামীকাল যেসব জেলায় ইউপি নির্বাচন হবে এর মধ্যে খুলনায় ৩৪টি, বাগেরহাটে ৬৬টি, সাতক্ষীরায় ২১টি, নোয়াখালীতে ১৩টি, চট্টগ্রামে ১২টি এবং কক্সবাজারে ১৪টি ইউনিয়ন রয়েছে। বাগেরহাটের বাইরে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে ৪টি এবং খুলনার ১টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

ইউপি নির্বাচনে ২০১৬ সাল থেকে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকে ভোট হচ্ছে। তবে এবারের নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেওয়ার কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছে। ফলে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা আশঙ্কা করছিলেন, নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন দলেরই বিদ্রোহী প্রার্থীরা। এতে সংঘাত ও প্রাণহানির আশঙ্কা তৈরি হবে। এ জন্য নির্বাচনে কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হলে ভবিষ্যতে আর নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হতে পারবেন না-দলের কেন্দ্র থেকে এমন কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, দেশে প্রায় সাড়ে চার হাজার ইউপিতে কয়েক ধাপে ভোট হবে। গত ৩ মার্চ প্রথম ধাপের ৩৭১টি ইউপির ভোটের তফসিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। কভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে ভোট স্থগিত করা হয়। ২১ জুন ২০৪টি ইউপিতে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। সীমান্তবর্তী এলাকায় কোভিড পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ১৬৭টি ইউপির ভোট স্থগিত করা হয়। প্রথম ধাপে স্থগিত ১৬৭টি ইউপির মধ্যে ১৬০টিতে কাল সোমবার ভোট হচ্ছে।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.