বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবিতে প্রতিবাদী ক্লাস নিলেন আনু মুহাম্মদ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খুলে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার দাবিতে ক্যাম্পাসে আবারও প্রতিবাদী ক্লাস হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের গ্যালারিতে এই ক্লাস নেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।

‘বাংলাদেশের উন্নয়নে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাত’ শীর্ষক এই ক্লাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

ক্লাসের আলোচনায় অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, একটি দেশের জিডিপির ছয় শতাংশ শিক্ষা খাতে বরাদ্দ থাকার কথা থাকলেও সে তুলনায় এদেশে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়া হয় না। পাশাপাশি নীতিগত কারণে আমাদের দেশে পাবলিক শিক্ষা ব্যবস্থা সঠিকভাবে গড়ে ওঠেনি। ফলে শিক্ষা খাতটি ক্রমাগত বাণিজ্যিকীকরণের দিকে চলে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, দেশের প্রতিটি গ্রামে লাইব্রেরি হওয়া উচিত। অথচ আমাদের বই পড়ার জন্য এখানে ধাক্কাধাক্কি করতে হয়। বাংলাদেশে পুঁজিবাদ বাড়ছে। কিন্তু চিকিৎসা প্রাপ্তি নিশ্চিত হচ্ছে না। মানুষের কোনোরকম চিন্তাও এখানে নেই। কারণ তারা জানে না রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তাদের কী কী পাওয়া উচিত ছিল।

ক্লাস শেষে আনু মুহাম্মদ সাংবাদিকদের বলেন, ক্লাসরুমে ক্লাস নেওয়ার বিকল্প তো অনলাইন হতে পারে না। অনলাইন সম্পূরক হিসেবে থাকতে পারে। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের চলাফেরার কোনো বিকল্প নেই, কারণ এটিও শিক্ষার অংশ। অনেক আগেই বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল খোলা উচিত ছিল। স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার উদ্যোগ আরও আগে থেকেই নেওয়া দরকার ছিল।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ আশা প্রকাশ করেন, নিয়মিত ক্লাসের স্বার্থে চলতি মাসেই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবিতে প্রতীকী ক্লাস নেন দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন, পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনু ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মানস চৌধুরী।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.