ক্ষমতাসীনরা গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছে: মান্না

ক্ষমতাসীনরা গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।

‘আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস’ উপলক্ষে বুধবার সংবাদমাধ্যমে নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাকিব আনোয়ারের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তিনি।

বিবৃতিতে মান্না বলেন, আজ ১৫ সেপ্টেম্বর, আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস। বর্তমান ক্ষমতাসীনরা গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছে। জনগণের সব ধরনের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছে তারা। নির্বাচন ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সকল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেশে একনায়কতান্ত্রিক স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, এক দশকের বেশি সময় ধরে এদেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে না। মানুষের বাক স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বেড়ে চলেছে। বিরোধী শক্তির ওপর অত্যাচার, দমন, পীড়ন, নির্যাতন, জেল, জুলুম অতীতের যেকোনো সময়ের সীমা অতিক্রম করেছে। ভোট ডাকাতির মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে বর্তমান সরকার ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে।

তিনি আরও বলেন, করোনা মোকাবিলায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ সরকার নিজেদের গদি টিকিয়ে রাখতে দেড় বছর ধরে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে গভীর সংকটে ঠেলে দিয়েছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সরকার, সরকারি দল আর তাদের অনুগত আমলা, প্রশাসন দুর্নীতি আর অপশাসনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্রকে পুরোপুরি ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছে।

মান্না বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশকে এবং দেশের জনগণকে বাঁচাতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কোনো বিকল্প নেই। এ বছর বিশ্ব গণতন্ত্র দিবসের মূল প্রতিপাদ্য – ভবিষ্যৎ সংকট মোকাবিলায় গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা জোরদার করা। আমাদের দেশের জন্য প্রয়োজন স্বৈরাচার সরকারকে হটিয়ে একটি স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। নাগরিক ঐক্য জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সবসময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.