এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যান গ্রেফতার

এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যান মুফতি রাগীব আহসান ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড আ্যকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। তার বিরুদ্ধে ১৭ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

আজ শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে র‌্যাবের উপ-পরিচালক মেজর রইসুল আজম গণমাধ্যমকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, পিরোজপুরের এহসান রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড বিল্ডার্স লিমিটেডের বিরুদ্ধে লক্ষাধিক গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠে। গ্রুপটির বিরুদ্ধে ১৭ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছে গ্রাহকরা।

জানা যায়, গ্রাহকের টাকা নিয়ে প্রতিষ্ঠানের নামে জমি ক্রয় না করে রাগীব আহসান এবং তার আত্মীয়স্বজনের নামে জমি ক্রয় করেন। সেসব জমির ৯০ শতাংশ গোপনে বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেন। এহসান গ্রুপের ১৭টি প্রতিষ্ঠানের ১৬টিই উধাও হয়ে গেছে।

এসব অভিযোগের ভিত্তিতে এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যান মুফতি রাগীব আহসান ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে আজ বিকেলে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।

গত রোববার (০৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে লক্ষাধিক গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ তোলা হয়। গ্রাহকদের একাংশের অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানটি ১৭ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।

ওই সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এহসান রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড বিল্ডার্সের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুফতি রাগীব আহসান এলাকার মানুষের সঞ্চয়ী হিসাব চালু করেন। জমা করা টাকার ওপর মাসিক মুনাফা দেওয়ার কথা বলে পাসবইসহ বিভিন্ন ডকুমেন্ট দিয়ে টাকা জমা নেন। এলাকার মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কয়েক মাস মাসিক মুনাফা দেওয়ার পর বন্ধ করে দেন। এরপর নানা কথায় সময় পার করতে থাকে। একপর্যায়ে টাকা ফেরত চাইলে বিভিন্ন অজুহাতে টালবাহানা শুরু করে। এভাবে প্রায় তিন বছর চলার পর টাকা-পয়সা না দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

২০১৯ সালে রাতের আঁধারে শের-ই-বাংলা পাবলিক লাইব্রেরির চতুর্থ তলায় এহসান গ্রুপের প্রধান কার্যালয় তালাবন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে জানা যায়, অফিস বন্ধের আগেই প্রতিষ্ঠানটি তাদের সব ডকুমেন্ট সরিয়ে ফেলে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.