হাটহাজারী মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মাওলানা ইয়াহিয়া

আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত মুহতামিম (মহাপরিচালক) করা হয়েছে মাওলানা ইয়াহিয়াকে। এর মধ্য দিয়ে মাদরাসাটির প্রয়াত মুহতামিম আল্লামা শাহ আহমদ শফীর স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি।

বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) মাদরাসার শুরা বৈঠক শেষে তার নাম ঘোষণা করা হয়।

হাটহাজারী মাদরাসার শুরা সদস্য ও ফটিকছড়ির জামিয়া উবাইদিয়া নানুপুর মাদরাসার পরিচালক মাওলানা সালাহউদ্দিন নানুপুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে হাটহাজারী মাদরাসার শুরা বৈঠক চলছিল। তিনি (চাটগামী) বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। নিজের রুমে হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরই মধ্যে আমরা বৈঠকে তার নাম মহাপরিচালক হিসেবে প্রস্তাবনা তৈরি করেছি। কিন্তু ঘোষণাটি শোনানোর আগেই তিনি হার্ট অ্যাটাক করেন। এরপর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি ইন্তেকাল করেন। বর্তমানে তার মরদেহ হাটহাজারী মাদরাসায় রয়েছে। তার মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক হিসেবে মুফতি ইয়াহিয়ার নাম ঘোষণা করে শুরা বৈঠক মুলতবি ঘোষণা করা হয়।

এর আগে গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর মাদরাসাটির প্রয়াত মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফীর দাফনের দিন সবশেষ শুরা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই বৈঠকে মহাপরিচালক নির্বাচনের পরিবর্তে তিন শিক্ষকের একটি প্যানেল নির্বাচিত করা হয়। তারা ছিলেন- মুফতী আবদুস সালাম চাটগামী, আল্লামা শেখ আহমদ, মাওলানা ইয়াহিয়া। ওই তিন শিক্ষকের নেতৃত্বে এক বছর ধরে মাদরাসাটি পরিচালিত হয়েছে। এ সময়ে মাদরাসাটি অনেকটা হেফাজতের প্রয়াত আমির জুনায়েদ বাবুনগরীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হওয়ায় শফীর শূন্যতা তেমন অনুভব করা যায়নি। তবে গত ১৯ আগস্ট তিনি মারা যাওয়ার পর মাদরাসা পরিচালনায় আবার নতুন করে সংকট দেখা দেয়। এর মাত্র ২০ দিনের মাথায় নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে বুধবার শুরা বৈঠক ডাকা হয়েছিল।

এদিকে আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হাটহাজারী মাদরাসায় শুরা কমিটির বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে মাদরাসার অর্থ ও শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে পর্যালোচনার পাশাপাশি আলোচনা সাপেক্ষে মহাপরিচালক, সহযোগী ও সহকারী মহাপরিচালক, শিক্ষা সচিব, শায়খুল হাদিস এবং মজলিসে শুরার দুটি শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়ার কথা ছিল।

আজকের বৈঠকে মুহতামিম (মহাপরিচালক) পদে প্রথমে আবদুস সালাম চাটগামী, নায়েবে মুহতামিম পদে মুফতি ইয়াহিয়াকে এবং মঈনে মুহতামিম পদে মুফতি জসিম উদ্দিনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। তবে নাম ঘোষণার আগেই হার্ট অ্যাটাক করে চাটগামী মারা যান। তখন মুফতি ইয়াহিয়াকে ভারপ্রাপ্ত মুহতামিম ঘোষণা করে বৈঠক মূলতবি ঘোষণা করা হয়।

প্রসঙ্গত, হাটহাজারী মাদরাসায় ১৩ জন শুরা সদস্যের মধ্যে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী এবং মাওলানা নোমান ফয়েজী মারা গেছেন। বর্তমানে শুরা সদস্যের সংখ্যা ১১ জন। মাদরাসাটি ১৯০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.