গ্রেফতার জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা, রিমান্ডে চায় পুলিশ

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় গোপন বৈঠক থেকে গ্রেফতার জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেলসহ নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ভাটারা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলাটি হয়।

আজ মঙ্গলবার (০৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মামলার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদসহ নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গ্রেফতার নয়জনকে আদালতে সোপর্দ করে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হবে।

মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হচ্ছেন- জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ, রফিকুল ইসলাম খান, নির্বাহী পরিষদ সদস্য ইজ্জত উল্লাহ, মোবারক হোসেন, আব্দুর রব, ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত এবং জামায়াতের কর্মী মনিরুল ইসলাম ও আবুল কালাম।

সোমবার তাদের গ্রেফতারের পর রাতে গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার আসাদুজ্জামান তার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেফতার হওয়া জামায়াত নেতারা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন। বৈঠকে তারা রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র ও নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। গোপন সংবাদে বৈঠকের খবর জানতে পেরে তাদের আটক করি।

তিনি বলেন, তারা বৈঠকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গোপন ষড়যন্ত্র ও নাশকতার পরিকল্পনা করছেন বলে আমাদের কাছে খবর আসে। তাদের রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনার বৈঠক থেকে আলামত হিসেবে কিছু বই আমরা জব্দ করি। তাদের জিজ্ঞসাবাদ চলছে। কেন বৈঠকে মিলিত হয়েছেন জিজ্ঞাসাবাদে তারা এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। আমরা ধারণা করছি, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও নাশকতার পরিকল্পনা করার উদ্দেশ্যে মিলিত হয়েছিলেন। রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড করার জন্য এটা তাদের গোপন বৈঠক ছিল।

নির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া গেছে কি-না, তারা কোথায় বা কোন সময় নাশকতা করবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আমরা জানতে পারবো, তারা কী উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.