সন্ত্রাস দমনে সেই তালেবানের সঙ্গে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র

ঠিক ২০ বছর আগে ‘সন্ত্রাস দমনের’ অজুহাতে আফগানিস্তানে হামলা চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সন্ত্রাসের মদদ দেওয়ার অভিযোগ তুলে ২০০১ সালে তালেবানকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল তারা। তবে সময় পাল্টে গেছে এখন। সেই তালেবানের সঙ্গেই সন্ত্রাস দমনে কাজ করার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

দীর্ঘ ২০ বছর অবস্থানের পর আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনারা ফিরে গেছেন। এখন যুক্তরাষ্ট্র বলছে, নিষিদ্ধঘোষিত ইসলামিক স্টেটের (আইএস-কে) জঙ্গি দমনে তারা তালেবানের সঙ্গে কাজ করতে পারে।

আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর গতকাল বুধবার (০১ সেপ্টেম্বর) মার্কিন সেনাদের সর্বোচ্চ পদধারী জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান মার্ক মিলি এ ইঙ্গিতই দিলেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আইএসের শাখা ইসলামিক স্টেট খোরাসান প্রভিন্সের (আইএস-কে) জঙ্গি দমনে ভবিষ্যতে তালেবানের সঙ্গে কাজ করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।

আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের শেষ দিনগুলোয় সবচেয়ে বড় হামলাটি চালায় আইএস-কে। কাবুল বিমানবন্দর এলাকায় ওই হামলায় ১৭০ জনের বেশি মানুষ নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ১৩ মার্কিন সেনা রয়েছেন।

ওই হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ভুলে যাবো না, ক্ষমা করবো না।’

এরপর আইএসের বিষয়টি আবারও সামনে আনলেন মার্ক মিলি। তবে সন্ত্রাস দমনে কবে নাগাদ তালেবানের সঙ্গে কাজ হতে পারে, তা উল্লেখ করেননি তিনি।

তবে সংবাদ সম্মেলনে তালেবানকে ‘নিষ্ঠুর’ আখ্যা দিয়ে মার্ক মিলি বলেন, এটা এখনো স্পষ্ট নয়, তালেবানের কোনো পরিবর্তন হবে কি না।

আফগানিস্তান যুদ্ধ প্রসঙ্গে মার্ক মিলি বলেন, যুদ্ধ কঠিন। এটা বিদ্বেষপূর্ণ, এটা নিষ্ঠুর। এটা ক্ষমার অযোগ্য। তিনি বলেন, যখন আমরা বিগত ২০ বছরের দিকে ফিরে তাকাই, আর যখন আমরা বিগত ২০ দিনের হিসাব করি, তখন এটি যন্ত্রণা দেয় এবং ক্ষোভের জন্ম দেয়।

তালেবানের সহযোগিতায় লোকজন সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে মার্ক মিলি বলেন, আমরা খুব স্বল্প পরিসরে তালেবানের সঙ্গে কাজ করেছি যাতে যত বেশিসংখ্যক মানুষে সরিয়ে নেওয়া যায়।

সূত্র: এএফপি।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.