‘আফগানিস্তানে ক্ষমতার পরিবর্তন, আমাদের সতর্ক থাকতে হবে’

আফগানিস্তানে ক্ষমতার পরিবর্তন হয়েছে, তা দেখে দেশে একটি গোষ্ঠী রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরির অপচেষ্টা চালাচ্ছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমাদেরকে সাবধান ও সতর্ক থাকতে হবে।

রোববার (২৯ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।

আফগানিস্তানে ক্ষমতার পরিবর্তন নিয়ে মন্ত্রী বলেন, তালেবানরা ক্ষমতায় এসেছে, তা দেখে দেশে একটি গোষ্ঠী রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরির অপচেষ্ট চালাচ্ছে। আফগানিস্তানে যা ঘটছে তা সেই দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। তারপরও আমাদেরকে সাবধান ও সতর্ক থাকতে হবে, যাতে করে দেশে কেউ অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে না পারে। কারণ, দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন।

প্রকল্পের পণ্যের অযৌক্তিক দাম নির্ধারণ করলে কঠোর শাস্তি

কৃষিমন্ত্রী বলেন, গত অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের এডিপি (বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি) বাস্তবায়ন হয়েছে শতকরা ৯৯ ভাগ। যা জাতীয় গড় অগ্রগতির চেয়ে অনেক বেশি। আগামীতে এ সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে সবাইকে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে। চলতি অর্থবছরে যে প্রকল্পগুলো নেয়া হয়েছে তার শতভাগ বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে।

প্রকল্প পরিচালক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, সংস্থা প্রধানসহ প্রকল্প বাস্তবায়নে জড়িতদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘অত্যন্ত স্বচ্ছতা ও মানসম্পন্নভাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রকল্প পরিচালকরা কেনাকাটায় অস্বচ্ছতা, অযৌক্তিক দাম নির্ধারণ বা কোনোরকম দুর্নীতিতে জড়িত হলে-তাদেরকে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।’

সভায় জানানো হয়, চলমান ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের সংখ্যা ৭০টি। মোট বরাদ্দ ২ হাজার ৯৫৮ কোটি টাকা। সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পে, ৬৮০ কোটি টাকা। এছাড়া স্মলহোল্ডার এগ্রিকালচার কম্পিটিটিভনেস প্রকল্পে ১৬০ কোটি টাকা, এনটিপি-২ প্রকল্পে ১৫৭ কোটি টাকা এবং মানসম্পন্ন আলু বীজ উৎপাদন ও বিতরণ প্রকল্পে ১০০ কোটি টাকা উল্লেখযোগ্য।

সদ্য সমাপ্ত ২০২০-২১ অর্থবছর কৃষি মন্ত্রণালয়ের এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে প্রায় ৯৯ শতাংশ। মোট প্রকল্প ছিল ৮৫টি, এরমধ্যে ১৫টি প্রকল্প সমাপ্ত হয়েছে। প্রকল্পের অনুকূলে মোট বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকা। যার মধ্যে ২ হাজার ২৫৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে, যা বরাদ্দের প্রায় ৯৯ শতাংশ। এ অগ্রগতি জাতীয় গড় অগ্রগতির চেয়ে ১৭ শতাংশ বেশি। জাতীয় গড় অগ্রগতি হয়েছে ৮২ শতাংশ।

এছাড়া গত অর্থবছরে ১৬টি নতুন প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ২০ কোটি টাকার ‘কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্প’, ২১১ কোটি টাকার ‘কাজুবাদাম, কফি গবেষণা, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প’, ৪৩৮ কোটি টাকার ‘পতিত জমি ও বাড়ির আঙিনায় পারিবারিক পুষ্টিবাগান প্রকল্প’ উল্লেখযোগ্য।

সভাটি সঞ্চালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম। এ সময় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংস্থা প্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.