তালেবানের সঙ্গে আলোচনা প্রয়োজন: মার্কেল

কিছুদিনের মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে উদ্ধার কাজ শেষ হবে। প্রয়োজনে কথা বলা হবে তালেবানের সঙ্গেও। এমনটাই জানালেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল।

গতকাল (২৫ আগস্ট) জার্মান পার্লামেন্টে দেয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ২০ বছরে আফগানিস্তানে যে পরিবর্তন এসেছে তা যথাসম্ভব ধরে রাখার জন্য আমাদের চেষ্টা করা উচিত। আর তা করতে আন্তর্জাতিক সমাজের উচিত তালেবানের সঙ্গে সংলাপে বসা। এখনো পর্যন্ত জার্মানির সেনা বিমান ৪ হাজার ৬০০ জার্মান নাগরিক এবং তাদের সঙ্গে কাজ করা আফগান নাগরিককে উদ্ধার করতে পেরেছে। ৩১ অগাস্টের মধ্যে যাতে উদ্ধারকাজ সম্পূর্ণ করা যায়, তার জন্য প্রাণপাত করছে জার্মান সেনা।

একইসঙ্গে এদিন তালেবান নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন চ্যান্সেলর। তিনি জানিয়েছেন, বাস্তব হলো, তালেবান ক্ষমতায় এসে গেছে। ফলে প্রয়োজনে তাদের সঙ্গে আলোচনার টেবিলেও বসতে হবে। তালেবানের সঙ্গে কথা বলতে ‘লজ্জা’ পেলে চলবে না।

আগামী ৩১ আগস্ট আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ার পরও তিনি আফগানিস্তানের জনগণকে সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। মার্কেল বলেন, ওই তারিখ পর্যন্ত আফগানিস্তান থেকে আমাদের আফগান সহকর্মীদের বের করে আনার জন্য জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যেতে হবে।

উদ্ধারকাজের বিষয়ে মার্কেল জানিয়েছেন, ৩১ অগাস্টের মধ্যে যাতে তা শেষ করা যায়, সে দিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। তবে ৩১ অগাস্টের পরেও জার্মানি আফগানিস্তানের পাশে থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন। যে সমস্ত আফগান দীর্ঘদিন জার্মানিকে সাহায্য করেছে, জার্মানির বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থেকেছে, তাদের ছেড়ে আসা হবে না। পাশাপাশি মানবাধিকার এবং অন্যান্য বিষয়ে জার্মানি আফগানিস্তানকে আর্থিক সাহায্য করবে বলেও জানিয়েছেন ম্যার্কেল। ইতিমধ্যেই সাহায্যের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে বলে আগেই জানিয়েছিল জার্মান প্রশাসন।

এদিকে তালেবান হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহার এবং কাবুল বিমানবন্দরে তাদের অবস্থানের মেয়াদ বাড়ানো হবে না। আগামী ৩১ আগস্ট এই সময়সীমা শেষ হওয়ার কথা রয়েছে যদিও আমেরিকা বুধবার দাবি করেছে, তালেবান ওই সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়র পরও মার্কিন সেনাদের কিছু বলবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, পার্সটুডে, রয়টার্স, ডিপিএ, এপি

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.