কওমি মাদরাসা খুলে দেওয়ার আশ্বাস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

কওমি মাদরাসা খুলে দেওয়ার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করে শীঘ্রই ইতিবাচক কিছু বলতে পারবেন বলে আশাবাদী তিনি।

আজ বুধবার (২৫ আগস্ট) কওমি মাদরাসার প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বলে কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ সংস্থা আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল-জামিয়াতিলের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বুধবার দুপুর ২টায় আল-হাইআতুল উলইয়া লিল-জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের মুহতারাম চেয়ারম্যান এবং বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সভাপতি আল্লামা মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে ৮ জনের একটি প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে দেখা করেন। এ সময় তারা সরকারের নিকট কওমি মাদরাসাসমূহ খুলে দেওয়ার জোর দাবি জানান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে অতি দ্রুত হিফজ ও মক্তব বিভাগ খুলে দেওয়া হবে এবং পর্যায়ক্রমে সারাদেশের কওমি মাদরাসা ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালুর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

আল্লামা মাহমুদুল হাসান জানান, কওমি মাদরাসাগুলোতে কুরআন-হাদীস ভিত্তিক শিক্ষাকার্যক্রম চালানো হয়। কুরআন তেলাওয়াত, জিকির, দুআ, তাহাজ্জুদ ও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে মহামারি ও বালা-মসিবত হতে মুক্তির জন্য বিশেষভাবে মুনাজাত করা হয়। এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে জাতি করোনাসহ সব রকম বালা-মসিবত থেকে পরিত্রাণ পেতে পারে।

তিনি জানান, প্রায় দেড় বছর ধরে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থী অহেতুক ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। পারিবারিক ও সামাজিক অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে। এ অবস্থায় সার্বিক বিবেচনায় সারাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- মাওলানা নূরুল ইসলাম, আল্লামা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা মাহফুজুল হক, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মুফতি নূরুল আমীন, মুফতি মোহাম্মদ আলী এবং মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.