চাঁদা না দিলে কাবুল বিমানবন্দরে ঢুকতেই দিচ্ছে না মার্কিন সেনারা

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে বিদেশ গমনে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের কাছ থেকে মার্কিন সেনারা চাঁদা তুলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৫ আগস্ট তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করার পর কিছু আফগান নাগরিকের মধ্যে দেশত্যাগের হিড়িক পড়ে যায়। এই সুযোগে বিমানবন্দরে মোতায়েন সন্ত্রাসী মার্কিন সেনারা আফগান নাগরিকদের কাছ থেকে জোরপূর্বক অর্থ আদায় করে নিচ্ছে। খবর- ইরানি বার্তা সংস্থার

ইরানি বার্তা সংস্থার ‘নূর নিউজ’ জানিয়েছে, মার্কিন নাগরিকদের নির্বিঘ্নে আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করার জন্য কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় মার্কিন মেরিন সেনাদের মোতায়েন করা হয়েছে। তারা বিমানবন্দরে ভিড় করা আফগান নাগরিকদেরকে বিদেশগামী বিমানে উঠিয়ে দিতে সহযোগিতা করার জন্য একেকজনের কাছ থেকে সুবিধামতো ৫০০ থেকে ২ হাজার ডলার পর্যন্ত হাতিয়ে নিচ্ছে।

দেশ ত্যাগকারী আফগান নাগরিকদের উদ্ধৃতি দিয়ে ইরানের নূর নিউজ এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, যারা চাঁদা দিতে পারছে না তাদেরকে কোনোক্রমেই বিমানবন্দরে ঢুকতে দিচ্ছে না মার্কিন সেনারা। আর পশ্চিমাদের নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম এ খবর প্রচার করছে না।

তবে এভাবে হুড়োহুড়ি করে দেশত্যাগ না করতে আফগান নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তালেবান মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ। তিনি বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো আফগান নাগরিকদের নিয়ে তাদেরকে নীচু মানের কাজে নিয়োগ দেবে। তিনি আফগানিস্তানের জনগণকে দেশত্যাগ উৎসাহিত না করার জন্য আমেরিকার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে পর্যবেক্ষকরা বলছেন, তালেবানের অগ্রাভিযানের মুখে আমেরিকা ও ব্রিটেনসহ সবগুলো পশ্চিমা দেশ আফগান যুদ্ধে শোচনীয় পরায়বরণ করেছে। এ অবস্থায় এসব পশ্চিমা দেশের গণমাধ্যমে আফগানিস্তানের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে বাস্তবতার উল্টোচিত্র তুলে ধরা হবে এটাই স্বাভাবিক। তাদের মতে, পরাজিত শক্তির গণমাধ্যমে আফগানিস্তান সম্পর্কে ইতিবাচক খবর আশা করা যায় না।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.