গাজায় ফের ইসরায়েলের বিমান হামলা

গত ২১ মে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সংঘর্ষ-বিরতি নিয়ে সমঝোতা হয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকে ছোটখাট হাঙ্গামা হয়েছে। কিন্তু শনিবার ইসরায়েলের সেনাদের হামলায় সব চেয়ে বেশি সহিংসতা হলো। এর ফলে ১৩ বছর বয়সি এক বালক গুরুতরভাবে আহত।

গাজার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাচ্চার মাথায় গুলি লেগেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকি আহতদের পা, পিঠ, পেটের নীচে গুলি লেগেছে। মোট ৪১ জন সাধারণ মানুষ আহত হয়েছেন। এই সংঘর্ষের পরই গাজায় হামাসের উপর আক্রমণ চালায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর ফাইটার জেট। এই হামলার ফলে অনেকে আহত হয়েছেন।

এদিকে গাজার সীমানায় প্রচুর ফিলিস্তিনি জড়ো হন। তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন। হামাস জানিয়েছে, ৫২ বছর আগে জেরুসালেমের আল-আকসা মসজিদ জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছিল। তারই প্রতিবাদ করছিলেন তারা। হাজার হাজার মানুষ এই প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিলেন। প্রতিবাদ চলার সময় তরুণ ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলি সেনাকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে। টায়ারও জ্বালিয়ে দেয়।

ইসরায়েলি সেনা প্রথমে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। তারপর তারা গুলি চালায়। ইসরায়েলি সেনার তরফ থেকে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলি বর্ডার পুলিশের এক জওয়ান গুরুতরভাবে আহত। সহিংসতার প্রতিক্রিয়ায় তারা বিমান হামলা করেছে। ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান হামাসের চারটি অস্ত্রের গুদাম ও অস্ত্র তৈরির কারখানায় হামলা চালিয়েছে। এরপর কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা জানা যায়নি। ইসরায়েল জানিয়েছে, সীমান্তে তারা আরো সেনা মোতায়েন করেছে।

হামাসের মুখপাত্র জানিয়েছেন, শনিবারের বিমান হামলা দেখিয়ে দিয়েছে, ইসরায়েল তাদের ব্যর্থতা ঢাকতে এইভাবে আক্রমণ করছে। এর বিরুদ্ধে হামাস প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, এপি, এএফপি, রয়টার্স

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.