‘অনুমোদিত ঋণের অর্থ তৃতীয় কারো অনুকূলে ছাড় করা যাবে না’

নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) অনুমোদিত ঋণের অর্থ সুবিধাভোগী গ্রাহক ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ছাড় করা যাবে না। সুবিধাভোগী গ্রাহকের অনুকূলে অর্থ ছাড়ের বিষয়টি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় দলিলাদি গ্রাহকের ঋণ নথিতে সংরক্ষণ করতে হবে।

আজ মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। আজ-ই তা দেশে ব্যবসায়রত সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রচলিত ঋণ নিয়মাচার অনুযায়ী ঋণ/লিজ/বিনিয়োগ অনুমোদনের পর তা সুবিধাভোগী গ্রাহকের হিসাবে ছাড়করণের বিষয়টি অত্যাবশ্যকীয় হলেও সাম্প্রতিক কালে পরিলক্ষিত হচ্ছে যে, অনুমোদিত গ্রাহকের অনুকূলে ঋণ/লিজ/বিনিয়োগ এর অর্থ ছাড়করণের পরিবর্তে কোন কোন ক্ষেত্রে তা তৃতীয় কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ছাড় করা হয়। এরূপ চর্চা এতদ্বিষয়ে অনুসৃতব্য Integrated Risk Management Guidelines for Financial Institutions-2016 এবং ঋণের সদ্ব্যবহার নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত ২৮/০২/২০২১ তারিখের ডিএফআইএম সার্কুলার নং-২ এ বর্ণিত নির্দেশনার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। উল্লিখিত গাইডলাইন্স/নির্দেশনা মোতাবেক অনুমোদিত ঋণ/লিজ/বিনিয়োগ প্রকৃত গ্রাহক ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ছাড় করা ঋণ শৃঙ্খলার পরিপন্থী।

ঋণের অর্থ প্রকৃত সুবিধাভোগীর অনুকূলে বিতরণ নিশ্চিত করতে ২টি সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এগুলো হচ্ছে-

১। অনুমোদিত ঋণ/লিজ/ বিনিয়োগ এর অর্থ প্রকৃত গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবে ছাড়করণপূর্বক ব্যাংক বিবরণীর কপি সংশ্লিষ্ট
গ্রাহকের ঋণ/লীজ/বিনিয়োগ এর নথিতে সংরক্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে; এবং

২। ইসলামি শরীয়াহ্ ভিত্তিক পরিচালিত আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের ক্ষেত্রে পর্ষদ কর্তৃক অনুমোদিত বিনিয়োগ প্রকৃত সরবরাহকারীর ব্যাংক হিসাবে ছাড় করা যাবে। তবে, এক্ষেত্রে বিনিয়োগের অর্থ সরবরাহকারীর ব্যাংক হিসাবে ছাড়করণের পূর্বে বিনিয়োগ গ্রাহকের সম্মতিপত্র সংগ্রহপূর্বক তা নথিতে সংরক্ষণ করতে হবে।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.