‘১৫ আগস্ট ঘিরে নাশকতার আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছি না’

আগামীকাল ১৫ আগস্ট ঘিরে নাশকতার আশঙ্কা আমরা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছি না। তবে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সে জন্য আমরা সর্বোচ্চ মেধা ও চেষ্টা দিয়ে তৎপর আছি বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।

শনিবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ডিএমপি কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতনরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও স্মৃতি জাদুঘর এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা আশা করতে পারি ১৫ আগস্ট ঘিরে কোনো নাশকতার ঘটনা ঘটবে না। তবে আশঙ্কার বিষয়টি আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না। এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সে জন্য আমরা সর্বোচ্চ মেধা ও চেষ্টা দিয়ে তৎপর আছি। এখন যারা জঙ্গি হামলা করার চেষ্টা করছে তাদের প্রধান টার্গেট হলো আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় আসা। ছোট একটি ঘটনা ঘটিয়েই যেন তারা আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় আসতে পারে। তাদের জন্য ১৫ আগস্ট তাৎপর্যপূর্ণ। ভেন্যুর আশেপাশে না হোক, ভেন্যু থেকে দুই কিলোমিটার দূরেও যদি একটা বোমা ফাটাতে পারে এটি কিন্তু আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। এই দিক বিবেচনা করে তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। যে গ্রুপটি পাঁচটা ট্রাফিক পয়েন্টে ছোট ছোট বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। এরপর আরেকটু শক্তিশালী বোমা তারা এনেছিল। ধাপে ধাপে তারা উন্নতি করছিল। সেই পুরো গ্যাংটা ধরা পড়ে গেছে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, জঙ্গিরা থেমে নেই এটা বলা যায়। আমরাও সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি যাতে কোনো ধরনের ঘটনা না ঘটে। সারা পৃথিবী এখন সাইবার ওয়ার্ল্ডে বন্দি। জঙ্গিরাও একই মিডিয়ায় তাদের রিক্রুট এবং উদ্বুদ্ধ করছে। সম্প্রতি তালেবানরা আফগানিস্তানে যুদ্ধে যেতে আহ্বান জানিয়েছে। আর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে কিছু মানুষ ঘর ছেড়েছেন। তাদের মধ্যে কিছু ভারতে গ্রেফতার হয়েছেন আর কিছু পায়ে হেঁটে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।

তিনি আরও বলেন, গত পরশু জঙ্গি সংগঠনের লিডিং পর্যায়ের একজনকে গ্রেফতার করেছে সিটিটিসি। যিনি বোমা বিশেষজ্ঞ ও অনলাইনে বোমা বানানোর প্রশিক্ষণ দিতো। তারা ধাপে ধাপে উন্নতি করছিল, এই পুরো গ্যাংটাকে আমরা গ্রেফতার করতে পেরেছি।

তিনি আরও বলেন, ১৫ আগস্ট চলাচল নিয়ন্ত্রিত থাকে। মানুষকে বেশ কিছু পথ হেঁটে আসতে হয়। আমাদের আউটার চেকপোস্ট যেগুলো থাকবে, সেখানে ভালো মতো তল্লাশি করে আমরা ঢুকতে দেবো। প্রধানমন্ত্রী যতক্ষণ এখানে থাকবেন শুধুমাত্র তার নিরাপত্তায় নিয়জিত ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন। তিনি বের হওয়ার পরে আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা প্রবেশ করবেন। তারপর জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

অথসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.