২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত, মৃত্যু ও সংক্রমণ হার কমেছে

মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে বিগত দেড় বছর ধরে টালমাটাল বিশ্ব। বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। করোনার সংক্রমণ রোধে দেশে ধাপে ধাপে কঠোর বিধিনিষেধ দেওয়া হলেও পরিস্থিতির খুব বেশি উন্নতি হয়নি। এ অবস্থায় জীবন-জীবিকার স্বার্থে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। তবে এখনো চোখ রাঙাচ্ছে এ ভাইরাস। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ও শনাক্ত কমেছে। একইসঙ্গে কমেছে সংক্রমণ হার।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১০ হাজার ১২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর আগে ২৮ জুলাই দেশে ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়, যা একদিনে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড।

আগের সাত দিনে দেশে যথাক্রমে ১০৪২০, ১১১৬৪, ১১৪৬৩, ১০২৯৯, ৮১৩৬, ১২৬০৬ ও ১২৭৪৪ জন রোগী শনাক্ত হয়।

সর্বশেষ তথ্য অনুসারে দেশে নভেল করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৯৬ হাজার ৮৬৮ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪৫ হাজার ৭৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ছিল ২৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

এর আগের ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৪৪ হাজার ৪৩০টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার করা হয়েছে ৮৩ লাখ ১ হাজার ৫৫০ জনের। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮২ শতাংশ।

আজ বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।


একনজরে দেশের করোনার চিত্র

নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন: ১০১২৬ জন

মোট আক্রান্তের সংখ্যা: ১৩৯৬৮৬৮ জন

২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে: ২১৫ জনের

মোট মৃত্যু হয়েছে: ২৩৬১৩ জনের

২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন: ১৩৯৯০ জন

মোট সুস্থ হয়েছেন: ১২৬২০৬৫ জন


গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২১৫ জন মারা গেছেন। এর আগে মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) ও ৫ আগস্ট দেশে করোনায় মারা যান ২৬৪ জন, যা একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু।

গত সাত দিনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন যথাক্রমে ২৩৭, ২৬৪, ২৪৫, ২৪১, ২৬১, ২৪৮ ও ২৬৪ জন।

সর্বশেষ তথ্য অনুসারে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ৬১৩ জনে। মোট শনাক্তকৃত রোগীর বিপরীতে মৃত্যুর হার এক দশমিক ৬৯ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ১৩ হাজার ৯৯০ জন সুস্থ হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনা থেকে মোট সুস্থ হয়েছেন ১২ লাখ ৬২ হাজার ৬৫ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.