দেনমোহর বেশি করায় নানা ও মামা শ্বশুরকে বেঁধে পেটালেন জামাই

দেনমোহর ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ করায় বিয়ের প্রায় এক বছর পর নানা শ্বশুর ও মামা শ্বশুরকে বেঁধে পেটালেন জামাই আবুল কালাম। ঘটনা জানতে পেরে পরিবারের লোকজন জাতীয় হটলাইন ৯৯৯ নম্বরে কল করলে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে সাভার মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতনের শিকার আব্দুল মান্নান ও শহিদ মোল্লা। এর আগে মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) সাভারের কাজীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নির্যাতনের শিকার আব্দুল মান্নান ও শহিদ মোল্লা আবুল কালামের নানা শ্বশুর ও মামা শ্বশুর বলে জানা গেছে। তারা মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর থানার খাসেরচর গ্রামের বাসিন্দা।

অভিযুক্তরা হলেন, সাভারের কাজিপাড়া এলাকার বশির মহাজন, তার ছেলে আবুল কালাম ও আব্দুস সালাম।

ভুক্তভোগী শহিদ মোল্লা জানান, তাদের নাতনি সোনিয়াকে গত ১ বছর আগে সাভারের কাজীপাড়া এলাকার বশির মহাজনের ছেলে আবুল কালামের সঙ্গে ১০ লাখ টাকা দেনমোহর নির্ধারণ করে বিয়ে দেন। বিয়ের এক মাস পরে শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন কালাম। এ সময় ১০ লাখ টাকা দেনমোহর করায় চড়াও হন তিনি। এরপর থেকে তাদের আত্মীয়তায় ভাটা পড়ে এবং উভয়ের যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়।

তিনি জানান, সোনিয়া অন্তঃস্বত্ত্বা হওয়ায় তার মা তাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) নাতনিকে আনতে জামাইয়ের বাড়ি সাভারে যায় শহিদ মোল্লা ও তার বাবা আব্দুল মান্নান।

এসময় তাদেরকে একটি বাড়ির ছাদে তুলে হাত বেঁধে নির্যাতন করে জামাই আবুল কালাম ও তার পবিবারের লোকজন। পরে শহিদ মোল্লা ও আব্দুল মান্নানকে নির্যাতনের ভিডিও তার শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে পাঠিয়ে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন আবুল কালাম। ভিডিও দেখে তারা ৯৯৯ এ ফোন করলে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। তবে নির্যাতনকারীদের ধরতে পারেনি পুলিশ।

সাভার মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক নাজিউর রহমান বলেন, আজ তারা থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.