অধ্যক্ষের খণ্ডিত লাশ উদ্ধার: ২ আসামির স্বীকারোক্তি

সাভারের রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণকে (৩৬) হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আসামিরা হলো- রবিউল ইসলাম রবি ও মো. আব্দুর রহিম বাদশা। অপর আসামি আবু মোতালেবের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামান শিকদারের আদালত এই আদেশ দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদেরকে আদালতে হাজির করেন। এ সময় আসামি রবিউল ইসলাম ও আব্দুর রহিম বাদশা স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামি মোতালেবের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত দুই আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এসময় আদালত অপর আসামি মোতালেবের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

উল্লেখ্য, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে টিউশনি করিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন অধ্যক্ষ মিন্টু। গত ১৩ জুলাই আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার ওই ভাড়া বাসা থেকে নিখোঁজ হন তিনি। পরে ২২ জুলাই তার ভাই দীপক চন্দ্র বর্মণ বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

গত ৮ আগস্ট মধ্যরাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ঢাকার আব্দুল্লাহপুর, আশুলিয়া ও গাইবান্ধা থেকে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব।র্যাব জানায়, কলেজের অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণকে হত্যার পর লাশ টুকরা টুকরা করে স্কুলের মাঠে পুঁতে ফেলা হয়েছে, আর দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে দূরের একটি ডোবায় ফেলা দেওয়া হয়।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.