পরীমণি ইস্যুতে সিটি ব্যাংকের জিডি

পরীমণি ইস্যু ঘিরে গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন দ্য সিটি ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ের হেড অব কোড অপারেশন গাজী এম শওকত হাসান। মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) এ জিডি করা হয়।

জিডি করার প্রেক্ষাপটে সিটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ উল্লেখ করে, সম্প্রতি বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন বিতর্কিত অভিনেত্রীর কর্মকাণ্ডের সঙ্গে কয়েকটি ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ নানা পেশার বেশ কিছু মানুষের জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্য প্রচারিত হয়েছে। এ সংবাদের মধ্যে সিটি ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জড়িত রয়েছে বলে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। এটাকে পুঁজি করে সমাজের কিছু স্বার্থান্বেষী অসাধু শ্রেণির প্রতারক ও চাঁদাবাজ মানুষ বিভিন্নভাবে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নাজেহাল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত আছে এবং থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছে সিটি ব্যাংক।

সাধারণ ডায়েরিতে বলা হয়, অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিবর্গ এবং একটি স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে সিটি ব্যাংকের সুনাম ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত আছে। ব্যাংক হতে তারা অবৈধ পন্থায় অর্থ লাভের আশায় বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করছে এবং ভবিষ্যতে করতে পারে বলে আশঙ্কা করা যাচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সামাজিক নিরাপত্তাসহ মানসিক উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় অত্র ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আশঙ্কা প্রকাশ করছে যে, একটি সংঘবদ্ধচক্র ব্যাংক হতে চাঁদাবাজি ও প্রতারণার আশ্রয়ে অর্থ আত্মসাতের পাঁয়তারা করছে বা করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এতে আরও বলা হয়, এ ধরনের সঙ্ঘবদ্ধ প্রতারকচক্র ভুয়া সংবাদ, কুৎসা ও মিথ্যা তথ্য প্রচার করে ব্যাংকের কাছে থেকে চাঁদাবাজির উদ্দেশ্যে সাধারণ জনগণের টাকা আত্মসাতের আশঙ্কা থাকে। বিধায় চক্রের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করাসহ তাদের আইনের আওতায় আনা অত্যন্ত জরুরি। তা না হলে ব্যাংক ও ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.