পশ্চিমবঙ্গে ভয়াবহ বন্যায় মৃত ১৬

পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলা বন্যা-বিধ্বস্ত। পশ্চিমে বাঁকুড়া থেকে পূর্বে হাওড়া- সর্বত্র বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে নদী। ভেসে গেছে অসংখ্য গ্রাম। বাড়ি ভেঙে, অথবা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় শিবিরে যেতে হয়েছে বহু মানুষকে। খবর আনন্দবাজারের

বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার নবান্নে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃতদের পরিবার পিছু দুই লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। পাশাপাশি মন্ত্রী এবং আমলাদের বন্যায় বিধ্বস্ত অঞ্চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। বন্যায় এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দুই বর্ধমান।

হুগলিতে বন্যা-বিধ্বস্তদের উদ্ধারে সেনাও নামাতে হয়েছিল। পাশাপাশি ড্রোনের সাহায্যে বিভিন্ন এলাকায় পরিদর্শন চালানো হচ্ছে। দেখা হচ্ছে, কোথাও কেউ আটকে পড়েছেন কি না। সরকারের তরফ থেকে ত্রাণ দেওয়ার কাজও শুরু হয়েছে। বিভিন্ন অঞ্চলে রাস্তার উপরে ত্রিপল টাঙিয়ে অস্থায়ী ত্রাণ শিবির তৈরি করা হয়েছে। স্কুল, কলেজেও ত্রাণ শিবির তৈরি করা হয়েছে।

সোমবার ঘাটালের প্লাবিত অঞ্চল পরিদর্শনে গেছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রও গেছিলেন তার সঙ্গে। ডয়চে ভেলেকে সুব্রত জানিয়েছেন, আপাতত জেলাতেই থাকবেন তিনি। প্রতি মুহূর্তের অবস্থা পর্যালোচনা করবেন। মঙ্গলবার সেচমন্ত্রী গেছেন হাওড়ায়। উদয়নারায়ণপুরের পরিস্থিতি দেখবেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিপর্যয় মোকাবিলা দল এরমধ্যেই জেলায় জেলায় পৌঁছে গেছে। তাদের মাধ্যমেই আপাতত ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হচ্ছে। আবহাওয়াবিদেরা জানিয়েছেন, এখনই বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ, আরো কিছুদিন বৃষ্টি চলবে। এবছর গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়েই অতিবৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি না কমলে বন্যার জল নামার সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছে প্রশাসন। ফলে ত্রাণের কাজ এবং উদ্ধারকাজে জোর দেওয়া হচ্ছে।

কলকাতাতেও রাতভর বৃষ্টি হয়েছে। বহু এলাকা জলের তলায়। মধ্য ও উত্তর কলকাতায় একাধিক রাস্তা জলের তলায়। মঙ্গলবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। বুধবার আবার প্রবল বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.