বাংলাদেশের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি অস্ট্রেলিয়া

লক্ষ্য বেশি বড় ছিল না। তারপরও পাওয়ার প্লে’তে বাংলাদেশের স্পিনারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডার। বাকিরাও ছিলেন আসা-যাওয়ার মাঝে। কিন্তু একপ্রান্ত ধরে খেলে রান বাড়িয়ে নিচ্ছিলেন মিচেল মার্শ। অবশ্য তাকেও শেষ পর্যন্ত বিদায় করেন নাসুম আহমেদ। বাঁহাতি এই স্পিনারের ৪ উইকেটের দিনে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর কীর্তি গড়ে বাংলাদেশ। ২৩ রানের জয়ের দিনে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেলো স্বাগতিকরা।

ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুতেই ধাক্কা খায় অস্ট্রেলিয়া। প্রথম বলেই উইকেট তুলে নেন শেখ মেহেদি হাসান। ওপেনার অ্যালেক্স ক্যারিকে শূন্য রানে বোল্ড করেন ডানহাতি এই অফ স্পিনার। এরপর বোলিংয়ে এসে উইকেটের দেখা পান নাসুম আহমেদ।

দ্বিতীয় বলে ছক্কা মারলেও চতুর্থ বলে গিয়ে স্টাম্পিং হন জস ফিলিপে। এরপর বোলিংয়ে এসে নিজের প্রথম বলেই উইকেটের দেখা পান সাকিব আল হাসান। বাঁহাতি এই স্পিনারের বলে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড আউট হয়েছেন ময়সেস হেনরিকস। ৩ উইকেট হারিয়ে বসা অস্ট্রেলিয়া পাওয়ার প্লেতে তোলে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৮ রান।

এরপর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সফরকারীদের আরও চাপে রাখেন শরিফুল ইসলাম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং নাসুম আহমেদ। দশম ওভারে দলীয় ৪৯ রানে অজিদের চাপমুক্ত করতে গিয়ে নাসুমকে উইকেট দিয়ে বসেন ম্যাথু ওয়েড। ২৩ বলে ১৩ রান করে ফেরেন তিনি। এরপর ক্রিজে নেমে দলকে ৫০’র উপর নিয়ে যান অ্যাস্টন অ্যাগার।

মিচেল মার্শকে খানিকক্ষন সঙ্গ দিলেও আবারও নাসুমের ওভারে আউট হন তিনি। তবে আউটের ভঙ্গিটা ভিন্ন। এই স্পিনারকে ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে হিট আউট হন অ্যাগার। তার বিদায়ের পর দলীয় ৮৪ রানে নাসুমের বলেই আউট হন মার্শ। ৪৫ রান করে বিদায় নেন তিনি। এরপর বাকি ব্যাটসম্যানরা ছিল আসা যাওয়ায় ব্যস্ত। মুস্তাফিজ এবং শফিরুলের নিয়ন্ত্রত বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত ১০৮ রানে অল আউট হয় অস্ট্রেলিয়া।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩১ সংগ্রহ করেছিল বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের হয়ে সাকিব ৩৬, নাইম শেখ ৩০ এবং আফিফ হোসেন ধ্রুব করেছিলেন ২৩ রান। অজিতেদের হয়ে তিন উইকেট নেন জস হ্যাজেলউড।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.