সৌদি আরবে ব্যাপক ধরপাকড়

লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে যে, জি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব ছাড়ার পর থেকে ভিন্নমতামবলম্বীদের উপর ব্যাপক দমনপীড়ন বাড়িয়ে দিয়েছে রিয়াদ৷

গত বছর বিশ্বের ধনীদেশগুলোর ফোরাম জি-টোয়েন্টির নেতৃত্বে ছিল সৌদি আরব৷ সেসময় অপ্রাপ্তবয়স্কদের মৃত্যুদণ্ড বাতিল এবং জনসমক্ষে বেত্রাঘাত নিষিদ্ধসহ কিছু পরিবর্তন আনার কথা জানিয়েছিল দেশটি৷

কিন্তু, জি-টোয়েন্টি প্রেসিডেন্সি ছাড়ার পর চলতি বছর আবার সেদেশে মানবাধিকার কর্মী ও ভিন্নমতাবলম্বীদের নিপীড়ন ও গত ছয় মাসে মৃত্যুদণ্ড প্রদানের হার বেড়ে গেছে বলে নতুন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷

চলতি বছরের শুরু থেকে এখন অবধি সৌদি আরবে অন্তত ৪০ ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে৷ এর আগে সৌদি হিউম্যান রাইটস কমিশন নামের একটি মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছিল যে, ২০২০ সালে ২৭টি মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিল যা ছিল ২০১৯ সালের তুলনায় ৮৫ শতাংশ কম৷

গবেষকরা হিসেব করে দেখেছেন চলতি বছর রিয়াদের বিশেষ অপরাধ আদালত (এসসিসি) অন্তত ১৩ মানবাধিকার কর্মীকে দোষী সাব্যস্ত করেছে৷ অ্যামনেস্টি এসসিসিকে ‘একটি কুখ্যাত সন্ত্রাসবিরোধী আদালত যেখানে গণশুনানিসহ বিভিন্ন অনিয়ম ঘটে’ উল্লেখ করে প্রতিবেদনে লিখেছে, ‘অনেক ক্ষেত্রে আসামীদের মাসের পর মাস বিনা বিচারে কারাবন্দি করে রাখা হয় এবং তাদেরকে উকিলের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে দেয়া হয় না৷’

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক উপপরিচালক লীন মালুফ এই বিষয়ে বলেন, ‘গত নভেম্বরে জি-টোয়েন্টি সম্মেলন আয়োজনের সময় সাময়িকভাবে বিরুদ্ধমত দমন বন্ধ রাখার অর্থ হচ্ছে দেশটিতে নিয়মনীতি সংস্কার চলছে বলে যে ধারণা তৈরি করা হয়েছিল তা আসলে প্রচারণা ছাড়া কিছুই নয়৷’

বিরুদ্ধমত দমনের একটি উদাহরণ হিসেবে তিনি জানান যে, শুধুমাত্র সৌদি সরকারের অর্থনৈতিক নীতির সমালোচনা করে টুইট করায় এক মানবাধিকার কর্মীকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে৷

সৌদি আরব অবশ্য অ্যামনেস্টির নতুন এই প্রতিবেদনের বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি৷ সূত্র: ডিডাব্লিউ, এএফপি

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.