১১ আগস্ট থেকে যেসব প্রতিষ্ঠান খুলবে আর যা বন্ধ থাকবে

করোনা সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউন (বিধিনিষেধ) আরও ৫ দিন বাড়িয়েছে সরকার। অর্থাৎ আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে। এরপর ১১ আগস্ট থেকে বিধিনিষেধে কিছু পরিবর্তন আনছে সরকার। ১১ আগস্ট থেকে সবকিছুই খোলা থাকবে। তবে তা সীমিত পরিসরে।

আজ মঙ্গলবার (০৩ আগস্ট) করোনা ভাইরাসের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ের এক সভা শেষে এসব তথ্য জানান বৈঠকের সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য কারখানা আমরা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ১১ আগস্ট থেকে দোকানপাট, যানবাহনও চলবে। সব একত্রে না। আমরা লোকাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটরকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অনুরোধ করব, বাই রোটেশনে যাতে চলে।

তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধই থাকছে। সরকারের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে ১০ আগস্টের পর বিধিনিষেধ অনেকটাই শিথিল হয়ে যাবে।

গাড়ি চলাচলের উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, মনে করেন গাজীপুর থেকে ১০০ গাড়ি আসে প্রতিদিন ঢাকায়। ১০০ না, ৩০টি আসুক বা ৫০টি আসুক। আজ এগুলো যাবে কাল অন্যগুলো যাবে। এ রকম তারা নির্ধারণ করে দেবে।

তিনি বলেন, লঞ্চ, স্টিমার আছে, রেল আছে, সেগুলোও চলবে। সব যে পরিমাণে অতীতে চলছিল, সে পরিমাণ না চলে সীমিত আকারে চলবে। কর্তৃপক্ষ সেগুলো নির্ধারণ করে জনগণকে অবহিত করবে। যেমন রেল হয়তো ১০টা চলতো, এখন ৫টা চলবে। কোন কোন সময় কোনটা ছাড়বে এবং কীভাবে যাবে, এগুলো নিজ নিজ মন্ত্রণালয় ও ডিপার্টমেন্ট জনগণকে অবহিত করবে, যাতে কোনো গ্যাপ না থাকে।

৭ আগস্ট থেকে ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে মোট ১৪ হাজার কেন্দ্রে এক যোগে গণটিকাদান শুরু হবে। সাত দিনে প্রায় এক কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। এই টিকায় বয়স্ক মানুষ অগ্রাধিকার পাবেন। একই সঙ্গে শ্রমজীবী মানুষ, দোকানদার ও গণপরিবহনের কর্মীদের নিজ নিজ ওয়ার্ড থেকে টিকা নিতে হবে। টিকা না নিয়ে কেউ কোনো কর্মস্থলে আসতে পারবেন না।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, টিকা না নিয়ে কেউ দোকান খুলতে পারবেন না বা বাইরে বেরোতে পারবেন না। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যারা বাইরে চলাফেরা করবেন, তারা টিকা না নিয়ে চললে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.