৩ শহর দখলে নিতে আফগান বাহিনীর সঙ্গে তালেবানের তীব্র সংঘর্ষ

আফগানিস্তানের দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি শহর দখলে নিতে সরকারি বাহিনীগুলোর সঙ্গে তীব্র লড়াই চালাচ্ছে তালেবান। এর মধ্যে দেশটির পশ্চিমের হেরাত শহরে বিদ্রোহীরা তাদের আক্রমণ জোরদার করেছে এবং তালেবান যোদ্ধারা শহরের ভেতর ঢুকে পড়েছে। লড়াই চলছে লস্কর গাহ ও কান্দাহারেও। খবর বিবিসির

বিবিসি জানায়, তালেবান যোদ্ধারা হেরাত শহরের দক্ষিণে রণাঙ্গন এলাকা অতিক্রম করে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঢুকে পড়েছে। এখন সরকারি বাহিনীগুলো গুরুত্বপূর্ণ তিনটি শহরের দখল কতক্ষণ ধরে রাখতে পারবে তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই শহরগুলোর হাতছাড়া হলে সেখানে মানবিক সংকট তৈরি হতে পারে।

আফগান কর্মকর্তারা বলেছিলেন, আমেরিকান বিমান হামলার সহায়তায় তারা তালেবান বিদ্রোহীদের পিছু হঠতে বাধ্য করেছেন। শনিবার হেরাতে আবার তুমুল লড়াই শুরু হয়েছে।

স্থানীয় আফগান নেতা ইসমাইল খান বলেছেন, হেরাত রক্ষা করতে তিনি মিলিশিয়াদের সাহায্য নিচ্ছেন। দক্ষিণেও তালেবান তাদের আক্রমণ তীব্র করেছে। অপরদিকে কাবুলের হেলমান্দ প্রদেশের লস্কর গাহ শহরের ওপর বিমান হামলায় একটি হাসপাতালের ক্ষতি হয়েছে এবং একজন মারা গেছেন।

গুল আহমদ কামিন নামে কান্দাহারের এক এমপি বিবিসিকে জানান, এই শহরটিও পতনের ঝুঁকিতে আছে। ঘণ্টায় ঘণ্টায় শহরটির পরিস্থিতি নাজুক হয়ে উঠছে। শহরের ভেতরে যে লড়াই চলছে, তা গত ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র। এখন কান্দাহারকে প্রধান একটি কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করছে তালেবান। শহরটিকে তারা তাদের অস্থায়ী রাজধানী বানাতে চায়। কান্দাহারের পতন হলে এই অঞ্চলের পাঁচ থেকে ছয়টি প্রদেশ সরকারের হাতছাড়া হয়ে যাবে। তালেবান যোদ্ধারা শহরের বেশ কয়েকটি এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। তারা শহরে পুরোপুরি ঢুকে পড়লেও সরকারি বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে ভারী কোনো অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে না। কারণ শহরে প্রচুর বেসামরিক মানুষ আছে। দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধের কারণে এর মধ্যে শহর থেকে হাজারো বাসিন্দা পালিয়ে গেছেন।

এদিকে টোলো নিউজ জানিয়েছে, পশ্চিমাঞ্চলে অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর হেরাতের দক্ষিণাংশে তালেবান যোদ্ধারা ঢুকে পড়ায় দুই পক্ষের মধ্যে লড়াই তীব্র হয়ে উঠেছে। হেরাতের পাঁচটি আলাদা এলাকায় লড়াই চলার খবর পাওয়া গেছে। সেখানে আফগানিস্তানের সরকারি বাহিনীর সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্র বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

সেপ্টেম্বরের মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে অধিকাংশ বিদেশি সৈন্য সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণার পর থেকে তালেবান দেশটির গ্রামীণ এলাকাগুলো দ্রুত দখল নিতে শুরু করে। এর মধ্যেই দেশটির অর্ধেক এলাকাসহ ইরান ও পাকিস্তানের সঙ্গে থাকা লাভজনক সীমান্ত ক্রসিং তালেবান যোদ্ধাদের দখলে চলে গেছে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.