সাভার-আশুলিয়ায় ৩৫ কিলোমিটার যানজট

‘লকডাউন’ শিথিলের প্রথম দিন বৃহস্পতিবারই তীব্র যানজটে পড়ে রাজধানী ও তার আশপাশের এলাকা। এরসঙ্গে যোগ হয়েছে ঈদযাত্রার বাড়তি যানবাহন। ফলে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই বাড়তে শুরু করেছে যানজট। বেলা যত বাড়ছে যানজটে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির সারিও ততই দীর্ঘ হচ্ছে।

আজ শুক্রবার (১৬ জুলাই) সাভারের দু’টি মহাসড়কে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার যানজট লেগে আছে। এছাড়া একটি সড়কে ২১ কিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন স্থানে যানবাহনের জটলা লেগে আছে।

এ যানজট ও রোদের উত্তাপের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। সেই সঙ্গে কোরবানির পশু নিয়েও বিপাকে পড়েছেন পাইকাররা।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আশুলিয়ার নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের ত্রিমোড়ে তীব্র যানজটের চিত্র দেখা গেছে।

জানা গেছে, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের চন্দ্রা থেকে নবীনগর পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার যানজট, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগর থেকে হেমায়েতপুর পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার যানজট। এছাড়া টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের জামগড়া থেকে ধৌড় পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার সড়কের ভিন্ন স্থানে যানবাহনের জটলা লেগে আছে, থেমে থেমে চলছে পরিবহন। এসব মহাসড়কে হাজার হাজার যানবাহন ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে রয়েছে।

সাভার ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ (টিআই এডিমন) আব্দুস সালাম গণমাধ্যমকে বলেন, চন্দ্রা থেকে হেমায়েতপুর পর্যন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা চেষ্টা করে এখন কিছুটা কমাতে পেরেছি। আমাদের ট্রাফিক পুলিশের সব সদস্যের ছুটি বাতিল করা হয়েছে ও নতুন করে আরও ফোর্স যুক্ত করা হয়েছে।

যানজটের কারণ হিসবে তিনি বলেন, একদিকে ঈদকে সামনে রেখে ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরছেন জনগণ, এজন্য অতিরিক্ত গাড়ির চাপ ও ঘরমুখো মানুষের ভিড়। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে কোরবানির হাটে তুলতে ঢাকায় আসছে গরুবাহী গাড়ি। এজন্য উভয় দিকেই গাড়ির চাপ অনেক বেশি। এছাড়া দুই-একদিনের মধ্যে পোশাক কারখানা ছুটি হবে। তখন ভিড় বেশি হবে, তাই আগেই সাধারণ মানুষ বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছেন। যত বেলা বাড়ছে যানজট বেড়েই যাচ্ছে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.