বানকো ফাইন্যান্সের কর্মকাণ্ড খতিয়ে দেখতে বিএসইসির কমিটি

দেশের অন্যতম শীর্ষ মার্চেন্ট ব্যাংক বানকো ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের কর্মকাণ্ড খতিয়ে দেখবে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। প্রতিষ্ঠানটিতে কোনো অনিয়ম আছে কি-না তা খুঁজে দেখতে বিএসইসি তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। একই মালিকদের মালিকানাধীন ব্রোকারহাউজ বানকো সিকিউরিটিজে গ্রাহকদের অর্থ নিয়ে নয়-ছয়ের ঘটনায় বানকো ফাইন্যান্সেও নানা অনিয়মের সন্দেহ করা হচ্ছে।

বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

সূত্র অনুসারে, গতকাল বুধবার (১৪ জুলাই) বিএসইসি তদন্ত কমিটি গঠনের আদেশ জারি করেছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে সংস্থাটির অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ কাউসার আলীকে। কমিটির অন্য সদস্যরা হচ্ছেন-অতিরিক্ত পরিচালক আবুল কালাম আজাদ ও যুগ্ম পরিচালক মোঃ রকিবুর রহমান। কমিটিকে পরবর্তী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

কমিটি বানকো ফাইন্যান্সের পাশাপাশি এই কোম্পানির মালিকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আরও ৯ কোম্পানির কার্যক্রম খতিয়ে দেখবে।

উল্লেখ, গত মাসের শুরুর দিকে বানকো সিকিউরিটিজে সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে ৬৬ কোটি টাকার ঘাটতি ধরা পড়ে। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানটিতে থাকা গ্রাহকদের টাকা থেকে ৬৬ কোটি টাকা এর মালিকরা সরিয়ে নিয়েছেন। সন্দেহ করা হচ্ছে, এই টাকার একটি অংশ দিয়ে নতুন নতুন কোম্পানির স্পন্সর হয়েছেন তারা, যার মধ্যে দুটিকে পুঁজিবাজারে নিয়ে আসারও পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
বানকো সিকিউরিটিজে জালিয়াতি ধরা পড়ার পর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ ব্রোকারহাউজটির লেনদেন বন্ধ করে দেয়। পাশাপাশি এর মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করে। এরই মধ্যে গত ৩০ জুন ভোরে বানকো সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান আব্দুল মুহিত গোপনে ইংল্যান্ড চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে ইমিগ্রেশন পুলিশের বাধায় তা সম্ভব হয়নি। দুর্নীতি দমমন কমিশন তাকে আটক করে।

অন্যদিকে ডিএসইর অনুরোধে বাংলাদেশ ব্যাংক বানকোর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ১০টি প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.