বিএনপির ‘অপপ্রচারের’ জবাব কেন দেন, জানালেন কাদের

বিএনপির ‘অপপ্রচার ও মিথ্যাচারের’ জবাব অনিচ্ছা সত্ত্বেও দিতে হয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দেওয়ার মানসিকতা আওয়ামী লীগ পোষণ করে না। তবে জবাব না দিলে জনগণ তাদের মিথ্যাচারকেই সত্য বলে ধরে নেবে।

আজ শুক্রবার (০৯ জুলাই) তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা সরকার দিনরাত জনকল্যাণে কাজ করছে, আর বিএনপি দেশ ও জাতির দুর্যোগকালে তাদের দায়িত্বশীলতা ভুলে গিয়ে প্রতিনিয়ত মিথ্যাচার করছে।

নেতিবাচক রাজনীতির কারণে নির্বাচন ও আন্দোলনে বিএনপির ব্যর্থতা স্পষ্ট উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের মেরুদণ্ড ভেঙে গেছে এবং সংগঠন হয়ে গেছে দুর্বল। তাই অনেকেই মনে করেন বিএনপি শেষ হয়ে গেছে।

ওবায়দুল কাদের মনে করেন আওয়ামী লীগ বিরোধী সব শক্তির অভিন্ন প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে বিএনপি এবং তারা স্বাধীনতা-স্বার্বভৌমত্ব ও উন্নয়নবিরোধী সব অপশক্তির মোহনা।

বিএনপি সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হতে পারে, কিন্তু আওয়ামী লীগবিরোধী বলয় হিসেবে তারা মোটেই দুর্বল নয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ দেশের রাজনীতিকে কলুষিত করতে এবং জনগণ ও দেশের সম্পদ ধ্বংস ও লুন্ঠনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন শক্তি এখনও সক্রিয়।

সেতুমন্ত্রী বলেন, যেকোনও দুর্যোগ ও সংকটে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করে মিডিয়ায় ঝড় তোলাই বিএনপির স্বভাব। করোনাকালেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি।

‘শেখ হাসিনা সরকার যখন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে জনগণের জীবন-জীবিকার সুরক্ষায় অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন, তখন বিএনপি জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে ঘরে বসে পাঁচ দফা প্রস্তাব দিয়েই তাদের দায়িত্ব শেষ করেছে।’

এরপর বিএনপি একদিন বলতে শুরু করবে সরকার বিএনপির পাঁচ দফা প্রস্তাব মানলে পরিস্থিতির আরও উন্নতি ঘটতো, বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

বিএনপির প্রস্তাব চর্বিতচর্বণ, যা সংকট উত্তরণের জন্য নতুন কিছু নয় জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এসব প্রস্তাবের অধিকাংশই ইতোমধ্যেই বাস্তবায়ন হয়েছে এবং কিছু বাস্তবায়নাধীন আছে। সরকারকে পরামর্শ দিলেও দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি নিজেদের দায়িত্ব কী তা নিয়ে একটি কথাও বলেনি।

ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করেন, বিএনপি দেশের এই সংকটে মানুষের পাশে তো দাঁড়ায়ইনি, স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে ন্যূনতম কোনও সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করতেও দেখা যায়নি। বিএনপি লোক দেখানো প্রস্তাব দিয়েই তাদের দায়িত্ব শেষ করেছে।

দুর্যোগ কিংবা সংকটে জনগণ থেকে দূরে সরে উট পাখির মতো বালিতে মাথা গুঁজে রাখার নীতিই বিএনপির রাজনীতি উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনাকালেও তারা সেই নীতি অনুসরণ করছে। অপরদিকে শেখ হাসিনা সরকার জনগণের সঙ্গে ছিল, আছে এবং থাকবে।

ওবায়দুল কাদের মহামারি থেকে উত্তরণ ও জনগণের জীবন-জীবিকার সুরক্ষায় দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐকবদ্ধ হয়ে অদৃশ্য শত্রু মোকাবিলায় সরকারকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.