২ মাস আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের ৫০% কিস্তি দিলেই চলবে

ব্যাংকের মতো নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) গ্রাহকদেরকেও ঋণ পরিশোধের জন্য বাড়তি সময় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। করোনাভাইরাস অতিমারিতে অর্থনীতিতে গতি ফেরাতে গ্রাহকদেরকে এই সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তবে এই সুবিধা ভোগ করতে হলে প্রতিষ্ঠান-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে প্রযোজ্য কিস্তির ন্যুনতম ৫০ শতাংশ অর্থ পরিশোধ করতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনার ফলে, আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ঋণের আংশিক কিস্তি পরিশোধের সময় পাবেন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকরা। আগের নির্দেশনা অনুসারে, ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ছিল ৩০ জুন। দেশে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের স্বার্থে গ্রাহকদের ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।

আজ সোমবার (৫ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ পুনরায় বৃদ্ধি পাওয়ায় চলমান অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা বজায় রাখা এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব লাঘবের লক্ষ্যে নিম্নোক্ত নির্দেশনাসমূহ অনুসরণের জন্য পরামর্শ দেয়া হয়। (ক) ঋণ-লিজ-অগ্রিমের বিপরীতে জুন/২০২১ পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তিসমূহের ন্যূনতম ৫০ শতাংশ আর্থিক প্রতিষ্ঠান-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে চলতি বছর ৩১ আগস্টের মধ্যে পরিশোধ করা হলে উক্ত সময়ে ঋণ-লিজ-অগ্রিমসমূহ বিরূপমানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না। এক্ষেত্রে জুন/২০২১ পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তির অবশিষ্ট অংশ পরবর্তী কিস্তির সঙ্গে প্রদেয় হবে। (খ) উক্ত ঋণ-লিজ-অগ্রিম হিসাবসমূহের সুদ-মুনাফা শুধু প্রকৃত আদায় সাপেক্ষে আয়খাতে স্থানান্তর করা যাবে এবং (গ) ঋণ-লিজ-অগ্রিমের ওপর সুদ/মুনাফা হিসাবায়নের ক্ষেত্রে এতদসংক্রান্ত বিদ্যমান অন্যান্য নীতিমালা বলবৎ থাকবে এবং এ সময়ে কোনো দণ্ড সুদ বা অতিরিক্ত ফি বা চার্জকমিশন (যে নামেই অভিহিত করা হোক না কেন) আরোপ করা যাবে না। আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ এর ১৮(ছ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়।

করোনাজনিত সঙ্কটে অর্থনীতির গতিশীলতা ফেরার স্বার্থে বাংলাদেশ ব্যাংক একাধিক দফায় গ্রাহকদের ঋণ পরিশোধের সময়সীমায় ছাড় দিয়েছে। এ সংক্রান্ত সর্বশেষ নির্দেশনা জারি করা হয় গত এপ্রিল মাসে, যাতে ঋণের কিস্তি পরিশোধে জুন পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কাঙ্খিত উন্নতি না হওয়া এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে স্বাভাবিক গতি না ফেরায় নতুন করে সময় বাড়ানো হয়েছে ঋণের কিস্তি পরিশোধে।

অর্থসূচক/এমআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.