মগবাজারে বিস্ফোরণে তিতাসের সংশ্লিষ্টতা নেই, দাবি এমডির

রাজধানীর মগবাজারে শরমা হাউসে বিস্ফোরণের ঘটনায় তিতাসের কোনো সংশ্লিষ্ট নেই বলে দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানটিরব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আলী ইকবাল মো. নুরুল্লাহ।

আজ সোমবার (২৮ জুন) তিতাসের তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর গণমাধ্যমের কাছে এই দাবি করেন তিনি।

মো. নুরুল্লাহ বলেন, শরমা হাউস ও তার দুই পাশের ভবনে তিতাসের কোনো গ্যাস–সংযোগ নেই। ঘটনাস্থলে এলপিজির সিলিন্ডার দেখতে পেয়েছেন তিতাসের তদন্ত কমিটির সদস্যরা। আজ বেলা তিনটার পর তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

আজ সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যায় তিতাস গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক তিতাসের মহাব্যবস্থাপক (ভিজিল্যান্স) সাইফুল ইসলাম চৌধুরী। তদন্ত কমিটির সদস্যসচিব তিতাসের জরুরি গ্যাস নিয়ন্ত্রণ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক সাখাওয়াত হোসেন। আর সদস্য তিতাসের বিপণন বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক সত্যজিত ঘোষ।

তদন্তের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি কমিটির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী। তবে তিনি বলেন, তারা তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে অল্প সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবেন।

ফায়ার সার্ভিসের ভাষ্যমতে, গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৭টা ৩৪ মিনিটের দিকে মগবাজারের ওয়্যারলেস গেট এলাকার শরমা হাউসে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। গ্যাসের কারণে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা ফায়ার সার্ভিসের। ঢাকা মহানগর পুলিশও একই ধারণার কথা বলেছে।

গতকাল রাতে বিকট শব্দে বিস্ফোরণে মুহূর্তেই কেঁপে ওঠে ওয়্যারলেস গেট এলাকার মূল সড়ক ও তার আশপাশ। রাস্তায় বৃষ্টির মতো পড়তে থাকে কাচের টুকরা। পরে দেখা যায়, ওয়্যারলেস গেট এলাকার অন্তত সাতটি ভবনের কাচ উড়ে গেছে। কোনোটির নিচতলা পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। প্রায় বিধ্বস্ত হয়েছে তিনটি ভবন। ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘণ্টাখানেক পর মৃত্যুর খবর আসতে থাকে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত প্রায় ২০০ জন।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.