যে কারণে পিছিয়েছে ‘কঠোর লকডাউন’

করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে সারাদেশে ঘোষিত ‘কঠোর লকডাউন’ এর সিদ্ধান্ত কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে। বিশেষ কারণে কিছু কারণে সরকার এই লকডাউন শুরুর সময়সূচি ৩ দিন পিছিয়েছে। আগামী সোমবারের (২৮ জুন) পরিবর্তে বৃহস্পতিবার শুরু হবে ওই লকডাউন। আর সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত থাকবে সীমিত পরিসরের লকডাউন।

আজ শনিবার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে উচ্চপর্যায়ের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার করোনা মোকাবেলা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির করা সারাদেশে ২ সপ্তাহের জন্য শাটডাউন (যা কঠোর লকডাউনেরই বিকল্প নাম) ঘোষণার সুপারিশ এবং শুক্রবার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনায় তাড়াহুড়া করে সোমবার থেকে কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাড়াহুড়ার কারণে কিছু বাস্তবতা নজর এড়িয়ে যায়। পরে সেগুলো নানাভাবে নজরে আসায় সরকার কঠোর লকডাউন কার্যকরের সময় কিছুটা পিছিয়ে দেয়।

উল্লেখ, আগামী ৩০ জুন ব্যাংক ক্লোজিং। এ সময়ে ব্যাংক, বীমা, এনবিএফআই এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের আর্থিক হিসাব মেলায়। জুনের শেষ সপ্তাহে ব্যাংকগুলোতে বিপুল পরিমাণ ঋণের কিস্তি জমা হয়। অন্যদিকে অর্থবছরের শেষভাগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডও (এনবিআর) রাজস্ব আহরণের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে। তাই এই সময়ে কঠোর লকডাউন থাকলে এসব প্রতিষ্ঠান মারাত্মক সমস্যায় পড়তে পারে। হোঁচট খেতে পারে সরকারের রাজস্ব আহরণ। এ বাস্তবতায় কঠোর লকডাউন কার্যকরের সময় ৩০ জুনের পরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

তবে আগের ঘোষণা অনুসারে, আগামী সোমবার থেকেই লকডাউন চলবে। ৩০ জুনের আগের ও পরের লকডাউনের মধ্যে শুধু মাত্রাগত কিছু পার্থক্য থাকবে। প্রথম ৩ দিন (সোমবার থেকে বুধবার) লকডাউন চলবে সীমিত পরিসরে। এ সময়ে গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে মার্কেট, হোটেল, রেস্তোরাঁ জাতীয় প্রতিষ্ঠান। কিন্তু আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ কিছু প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। আর ১ জুলাই থেকে পরবর্তী ৭ দিন কঠোর লকডাউনে জরুরী পরিষেবা ছাড়া সব সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। জরুরি পণ্যবাহী ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচলও বন্ধ থাকবে এ সময়। শুধু অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসাসংক্রান্ত কাজে ব্যবহৃত যানবাহন চলাচল করতে পারবে। জরুরি কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বের হতে পারবে না। তবে গণমাধ্যম এর আওতামুক্ত থাকবে।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.