সারাদেশে ১৪ দিনের শাটডাউনের সুপারিশ 

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সারাদেশে ১৪ দিনের পূর্ণ শাটডাউনের সুপারিশ করেছে করোনা মোকাবিলায় গঠিত ‘জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি’। বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ সহিদুল্লাহ প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার (২৩ জুন) কমিটির ৩৮তম সভায় সার্বিক দিক আলোচনা করে সারাদেশে পূর্ণ শাটডাউনের এ সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

জাতীয় কারিগরি কমিটির ওই সভায় বলা হয়, করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ায় শনাক্ত ও মৃত্যু বাড়ছে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের জীবাণু সংক্রমণ ক্ষমতা তুলনামূলক অনেক বেশি।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বিশ্লেষণে সারাদেশেই উচ্চ সংক্রমণ এবং ৫০টির বেশি জেলায় অতি উচ্চ সংক্রমণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে করোনা প্রতিরোধে এলাকাভিত্তিক লকডাউন কর্মসূচির উপযোগিতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।

গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা ছাড়া করোনার বিস্তৃতি ঠেকানো সম্ভব নয়। ভারতের শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও জাতীয় কারিগরি কমিটির আলোচনা হয়েছে। তাদের মতামত, ভারতের যেসব স্থানে পূর্ণ শাটডাউন করা হয়েছে, সেখানে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সার্বিক দিক বিবেচনা করে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া ও জনগণের জীবনের ঝুঁকি ঠেকাতে কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে সারাদেশে কমপক্ষে ১৪ দিন শাটডাউনের সুপারিশ করছে‌। এসময়ে জরুরি সেবা ছাড়া যানবাহন, অফিস-আদালতসহ সবকিছু বন্ধ রাখা প্রয়োজন। এ ব্যবস্থা কঠোরভাবে পালন করতে না পারলে, আমাদের যতই প্রস্তুত থাকুক না কেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অপ্রতুল হয়ে পড়বে।

এছাড়া সভায় টিকা সংগ্রহের জন্য সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।

সভায় বলা হয়, করোনা থেকে পূর্ণ মুক্তির জন্য ৮০ শতাংশের বেশি মানুষকে টিকা দেয়া প্রয়োজন। বিদেশ থেকে টিকা সংগ্রহ, লাইসেন্সের মাধ্যমে দেশে টিকা উৎপাদন করা এবং নিজস্ব টাকা তৈরির জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে গবেষণা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা হলো ১৩ হাজার ৮৬৮ জন। একই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৫৮ জন। যা দেশে গত ৭৪ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। ফলে করোনায় দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮ লাখ ৭২ হাজার ৯৩৫ জন।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.